দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পাত্র-পাত্রী দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরিবারের চাপে একসঙ্গে থাকতে পারেননি। শেষপর্যন্ত বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই দম্পতি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে।
[দেশে ফেরার ইচ্ছা অপূর্ণই, সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু নদিয়ার যুবকের]
একজনের বয়স ১৬, আর একজনের ২০। ক্যানিংয়ের কুমরোখালি গ্রামে বাড়ি সুরজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী জয়ার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুরজিতের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নেননি জয়ার বাড়ির লোকেরা। এক বছর আগে বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেছিল ওই কিশোরী। জয়াই শুধু নয়, সুরজিতেরও তখন বিয়ে বয়স হয়নি। এদেশে আঠেরো পেরলেই ভোটের অধিকার পাওয়া যায়। ওই বয়সে মেয়েরা বিয়েও করতে পারে। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে একুশ বছরের আগে বিয়ে করা আইনত অপরাধ। কিন্তু ঊনিশ বছর বয়সে সুরজিত বিয়ে করেছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে বিয়ে করার পরেও সুরজিত ও জয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি ওই কিশোরীর পরিবারের লোকেরা। মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আর জয়া যেহেতু নাবালিকা, তাই প্রশাসনের সাহায্য পেতে অসুবিধাও হয়নি। নিজের বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হয় জয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, জোর করে পরিবারের লোকেরা তাকে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিল ঠিকই। কিন্তু, স্বামীকে ভুলতে পারেনি জয়া। ভালবাসার টানে ফের সুরজিতের কাছে ফিরে গিয়েছিল সে। কিন্তু, পরিবারের চাপে আর একসঙ্গে থাকা হয়নি ওই দম্পতির। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বামী ও স্ত্রী। ঘটনার পর জয়া ও সুরজিৎকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। হাসপাতালে জয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সুরজিতের চিকিৎসা চলছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে সুরজিৎ মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন জয়ার পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
[ নোনা হচ্ছে বাংলার মিঠে জলাভূমি, হারিয়ে যাচ্ছে শোল-পুঁটি]
The post অপ্রাপ্তবয়সে পালিয়ে বিয়ে, বাড়ির চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা দম্পতির appeared first on Sangbad Pratidin.
