সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই হাতেনাতে ফল মিলল। প্রায় পাঁচ মাস আটকে থাকা মিতালি এক্সপ্রেসকে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দিল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে চিলাহাটি সীমান্ত হয়ে কোচবিহারের হলদিবাড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছয় মিতালি এক্সপ্রেসের আটটি রেক।
গত ১৭ জুলাই এনজেপি থেকে ঢাকায় গিয়ে সেদেশের অস্থির পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়েছিল মিতালি এক্সপ্রেস। যাত্রীরা সুস্থভাবে ফিরে এলেও সেদেশে গিয়ে ঢাকা স্টেশনে আটকে পড়া মিতালি এক্সপ্রেসের আটটি রেক রয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে একাধিকবার চিঠি চালচালি হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ২০২২ সালের ১ জুন ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সম্পর্কের ভিত আরও বেশি মজবুত করতে মিতালি এক্সপ্রেস চালু হয়। সপ্তাহে দু’দিন এনজেপি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করত দ্রুতগামী ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এতে দুই দেশের মানুষের যাতায়াত সুগম হচ্ছিল। পর্যটনেরও প্রসার ঘটছিল। গত জুন মাস থেকে ধীরে ধীরে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। হলদিবাড়ি স্টেশনের মাস্টার সত্যজিৎ তেওয়ারি জানান, গত ১৭ জুলাই শেষবার এনজেপি থেকে ঢাকায় যায় মিতালি এক্সপ্রেস। সেখানে গিয়ে আটকে পড়ে। এরপর সেদেশে অশান্তি আরও বাড়তে থাকে। আগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর মিতালির সেদেশে গিয়ে আটকে পড়া রেকগুলোকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
রেল দপ্তর সূত্রে খবর, সোমবার ঢাকায় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রির বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এরপরই সাতসকালে মিতালি এক্সপ্রেস ফিরে আসার খবর আসে। মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ ভারত সংলগ্ন বাংলাদেশের চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে হলদিবাড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছয় মিতালি এক্সপ্রেসের আটটি রেক। বাংলাদেশ রেলের ইঞ্জিন এবং লোকো পাইলট মিতালি এক্সপ্রেসের খালি রেকগুলোকে ভারতে নিয়ে আসে। পরে ইঞ্জিন নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যায়। আপাতত হলদিবাড়ি স্টেশনেই রয়েছে মিতালির খালি রেক। পরে তা এনজেপি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে আপাতত উত্তরবঙ্গের রেললাইন ধরে মৈত্রীর সাক্ষী মিতালীর ভবিষ্যৎও ডুবে গেল অন্ধকারে।