অর্ণব দাস, বারাসত: 'ছেলে সুরক্ষিত তো?', বারাসতে রামনবমীর মিছিলে পুত্র মিমোর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে খোঁচা আমজনতার। রবিবার বিকেলে বারাসতের ময়না থেকে রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার বিকেলে ১২নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একটু এগিয়ে মিছিল যখন ন'পাড়া কালীবাড়ির কাছে, তখনই ভিড়ের মধ্যে থেকে মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে একজন প্ৰশ্ন তোলেন, "মিঠুনদা ছেলে সুরক্ষিত তো?" সুকান্ত মজুমদার তাঁর দিকে তাকাতে ফের একই প্রশ্ন ছুড়ে দেন ওই ব্যক্তি। যদিও এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি দু'জনের কেউই। তবে, কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ খোঁচা দিয়ে বললেন, "এই ধরুন আমি মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। তার মধ্যেই হয়তো উনি আবার দল বদলে ফেললেন। উনি রাম না রাবণ। রাবণের দশ মাথার মতো উনি দশ দল করে ফেলেছেন। আবার সামনের বছর এই সময় দেখবেন হয়তো উনি আরেকটি দল করে ফেলেছেন।" রামনবমীর এই মিছিল সোজা এগিয়ে হেলাবটতলা পর্যন্ত পৌঁছলে মিছিল ছাড়েন মিঠুন চক্রবর্তী। তখন তিনি বলেন, "৯ শতাংশ হিন্দু যদি আমাদের পাশে থাকে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হবে।"
এদিন সুকান্ত বলেন, "রামনবমীতে মানুষ যেভাবে জয় শ্রীরাম বলছেন, এটা আগমনীর সুর। ছাব্বিশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুর।" কলোনিমোড় পেরিয়ে ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে তিনিও মিছিল ছাড়েন। তারপর মিছিল ডাকবাংলো মোড় থেকে যশোররোড ধরে চাঁপাডালি মোড় হয়ে শেষ হয় কাছারি ময়দানে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মিঠুন চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী যোগিতা বালির ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী (মিমো)-র বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ওশিয়ারা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল৷ অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ২০১৫ সাল থেকে মিমোর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই মহিলার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন মিমো৷ এরপর অভিযোগকারিণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, মিমো জোর করে তাঁর গর্ভপাত করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গ টেনেই তৃণমূলের তরফে বরাবর অভিযোগ তোলা হয়, ছেলেকে বাঁচানোর জন্য আরএসএস-এর কাছে মাথা নিচু করেছেন মিঠুন। রামনবমীর মিছিলে এসেও ভিড় থেকে একই প্রশ্ন ওঠায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছিলেন অন্যান্যরা।