shono
Advertisement

সামশেরগঞ্জের নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন TMC সাংসদ! বিস্ফোরক দলেরই বিধায়ক

এ বিষয়ে কী বললেন খলিলুর রহমান?
Posted: 08:42 PM Oct 24, 2021Updated: 08:42 PM Oct 24, 2021

শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: সামনেই জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার নির্বাচন। তার আগে মুর্শিদাবাদে প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্কলহ। জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। অভিযোগ করলেন, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান।

Advertisement

রবিবার জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলার ২০ বিধায়ক, ৩ সাংসদ, দুই মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র পাঁচ জন উপস্থিত হয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান ও সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও খড়গ্রামের বিধায়ক আশীষ মার্জিত এদিন নিজের কেন্দ্রে থাকলেও জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানের ডাকা জঙ্গিপুরের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে হাজির হননি। আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি মুর্শিদাবাদের সাংসদ তথা মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান আবুতাহের খান, সভাপতি শাওনি সিংহরায়, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক যুব সভাপতি হাবিব পারভেজ টনি।

[আরও পড়ুন: অসুস্থ শরীরেই উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, উৎসবের মরশুমে কোভিড নিয়ে সতর্কবার্তা মমতার]

এদিন সন্ধেয় সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেল করে জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানের (Khalilur Rahaman) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে আমাকে হারাতে সাংসদ ও সাংগঠনিক জেলা সভাপতি খলিলুর রহমানের পরিবার প্রকাশ্যে কাজ করেছে। তবু্ও জনগনের আর্শীবাদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমানকে জেতাতে খলিলুর রহমানের ছেলে, আপ্ত সহায়ক, তার সোশ্যাল মিডিয়ার পুরো টিম ও নূর বিড়ির সমস্ত কর্মচারী কংগ্রেসের হয়ে প্রকাশ্যে ভোট প্রচার করেছে। টাকা খরচ করেছে। সাংসদ খলিলুর রহমানের নিজের বুথ ৭২ নম্বরে তৃণমূল ভোট পেয়েছে মাত্র ৭২ টি। ৭৫ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৮৩। যারা তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে প্রকাশ্যে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছে তাদের নিয়ে এখন বিজয়া সম্মেলন করা হচ্ছে। খলিলুর রহমানের এই দ্বিচারিতার জন্য আমি অনুষ্ঠানে যাইনি। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানান হয়েছে।”

আমিরুল ইসলামের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি সাংসদের। এদিনের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “১৬ আগস্ট জঙ্গিপুর নতুন সাংগঠনিক জেলা হিসাবে ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সাংগঠনিক জেলার মিটিং করা হয়েছে। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে দল ভাল ফল করেছে। বিজয়া দশমীর পর রবিবার সাংগঠনিক জেলার বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সাংগঠনিক জেলার ৯ জন মন্ত্রী ও বিধায়কের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়, চেয়ারম্যান সাংসদ আবু তাহের খান ও বীরভূমের বোলপুরের সাংসদ অসিত মালকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল। আমিও ব্যক্তিগত ফোন করে কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। দু’জন বিধায়ক চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালুরু ও তামিলনাড়ুতে রয়েছেন। বাকি বিধায়করা আসেননি কেন বলতে পারব না।”

[আরও পড়ুন: কীসের ভিত্তিতে ১০০ কোটি টিকাকরণের দাবি মোদি সরকারের? শিলিগুড়ির সভা থেকে প্রশ্ন মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার