শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভোটের পরেও ভোট। আগামিকাল এরাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশের ভোটগণনা। কে, কোথায় দাঁড়িয়ে? কী হবে দেশের ভবিষ্যৎ? জানা যাবে কয়েকঘন্টা পরেই। কিন্তু তার আগেই আবার ভোট! যদিও এই ভোটের খবর জানে না নির্বাচন কমিশন। জানার কথাও নয়! এ এক অন্য ভোট৷
[আরও পড়ুন: ঝুলছে ‘রাজনৈতিক’ বদলির খাঁড়া, ফলপ্রকাশের আগে আতঙ্কে কাঁটা পুলিশ প্রশাসন]
এই বছর নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই রাস্তা ধরে একইভাবে আগামী প্রজন্ম অর্থাৎ কচিকাঁচাদের উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির একটি ক্লাব। যদিও সেটি বড়দের নয়, কচিকাঁচাদের জন্যই তৈরি। গত ১৮ এপ্রিল ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে জলপাইগুড়িতে। দীর্ঘ প্রায় এক মাসের অপেক্ষার পর আগামিকাল ভোট গণনা। কে কত আসন পাবে, কাটাকাটির সেই অঙ্কেই এখন মশগুল রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মাঝে ভোট আবহ এক অন্য পরিবেশ তৈরি করল ময়নাগুড়ি।
ওরা এখনও ভোটাধিকার পায়নি৷ কিন্তু বড়রা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের চিহ্নে ভোট দিয়ে, আঙুলে লাগিয়ে গণতন্ত্রের উৎসবে মশগুল, তখন ওরই বা বাদ থাকে কেন? তাই ছোটদের জন্য এই ভোটের আয়োজন৷ এখানে মোট ভোটার ত্রিশ জন। এদের মধ্যে কেউ চতুর্থ, পঞ্চম কেউ আবার ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রী। সকাল সকাল চলে এলো সকলেই। কে ভোটে দাঁড়াবে, স্থির হল সেখানেই। সাইকেল চিহ্নে দাঁড়াল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়দর্শিনী চৌধুরি। মোবাইল চিহ্নের প্রার্থী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী দেবপ্রিয়া চক্রবর্তী। তবে মোট ভোটার ৩০ জন হলেও ভোট দিল ২২ জন। এর মধ্যে আবার বাতিল হল ২টি ভোট।
[আরও পড়ুন:সাময়িক স্বস্তি অর্জুনের, আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর সুপ্রিম কোর্টের]
এদিন ভোটে সাইকেল চিহ্নে দাঁড়াল প্রিয়দর্শিনী চৌধুরি। দেবপ্রিয়া চক্রবর্তী দাঁড়ায় মোবাইল চিহ্নে। শান্তিতেই শেষ হল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। দুটি ভোট বাতিল করে শুরু হল গণনা৷ আর প্রাপ্ত ভোটের বিচারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রিয়দর্শিনীর থেকে ৪টি ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হল মোবাইল চিহ্নে দাঁড়ানো দেবপ্রিয়া।
The post সাইকেলের সঙ্গে মোবাইলের লড়াই, ছোটদের জন্য অন্য ভোট ময়নাগুড়িতে appeared first on Sangbad Pratidin.
