সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: গঙ্গাসাগরে মুড়িগঙ্গা পঞ্চায়েতের কসতলায় মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে বড় ধস। ২০০ ফুটেরও বেশি এলাকা জুড়ে এই ধসে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, নদীবাঁধ শক্তপোক্তভাবে মেরামত না করলে পুরো গ্রাম নোনা জলে প্লাবিত হতে পারে। পূর্ণিমার কোটালে জলের স্রোত ও পরিমাণ অনেকটাই বেশি। দ্বিতীয়া ও তৃতীয়ায় নদীর জল আরও বাড়বে বলেই বিশ্বাস এলাকার বাসিন্দাদের। ফলে আরও বড় অংশ জুড়ে নদীবাঁধে ধস নামার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বস্তায় মাটি ভরে ধস কবলিত এলাকায় বসিয়ে মেরামতের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে খবর। সোমবার থেকে নদীবাঁধে এই ধস শুরু হয়েছে।

মুড়িগঙ্গা ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবশঙ্কর রঞ্জিত জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সেচদপ্তর বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগিয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, গত বছরও কসতলায় এবারের ভাঙন কবলিত এলাকার দক্ষিণ পাশেই প্রায় ৭০০ ফুটের মত অংশ জুড়ে মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে ধস নেমেছিল। গঙ্গাসাগরকে বাঁচাতে কেন্দ্রের কাছে বারবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল না হওয়ায় রাজ্য সরকার একক প্রচেষ্টায় সাগরদ্বীপ জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় সীমিত সামর্থে স্থায়ী ও অস্থায়ী নদী ও সমুদ্রবাঁধগুলি নির্মাণ ও মেরামত করছে। গত বছরও কসতলায় ভাঙন কবলিত এলাকায় রাজ্য সরকার বাঁধ মেরামত করে বিপদগ্রস্ত মানুষকে রক্ষা করেছে। এবার ২০০ ফুট নদীবাঁধে ধস নেমেছে ওই কসতলারই অন্য এলাকায়। সেচ দপ্তরের বাস্তুকাররা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেচমন্ত্রীর সঙ্গে শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে তাঁর আলোচনা হবে বলে বিধায়ক জানান।
সাগরের বিডিও কানহাইয়া কুমার রায় জানান, সেচদপ্তর ওই এলাকায় রিংবাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে এখন মাটি ফেলে জল আটকানো সম্ভব হয়েছে। নদীবাঁধে আরও ফাটল বাড়লে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সেই আতঙ্ক এখন তাড়া করছে বাসিন্দাদের মধ্যে।