সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করতে সবচেয়ে বড় অভিযান। তিন রাজ্যের ২০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী অভিযান নেমেছে। মনে করা হচ্ছে ইতিমধ্যে তাঁরা ঘিরে ফেলেছে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জঙ্গলের ১০০০ নকশালপন্থীকে। এখনও পর্যন্ত ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রে মিলিয়ে নিহত ৫ মাওবাদী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূলের ডেডলাইন দিয়েছেন। সেকথা মাথায় রেখেই ৪৮ ঘণ্টার বৃহত্তম অভিযান শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, মোস্ট-ওয়ান্টেড মাও কমান্ডার হিদমা এবং ব্যাটালিয়ন প্রধান দেবা-সহ শীর্ষ নকশাল নেতাদের কাবু করতেই এই অভিযান। বর্তমান অপরেশনে রয়েছে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সবকটি বাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়নস ফর রিজোলুট অ্যাকশন।
নিরাপত্তারক্ষীদের বিরাট বাহিনী কাররেগুট্টা পাহাড় ঘিরে ফেলেছে। ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানা সীমানা হয়ে যাবতীয় পালানোর পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই অঞ্চলের দুর্গম তথা গভীর জঙ্গলেই রয়েছে মাওবাদীদের ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নটি। ক'দিন আগেই নকশালপন্থীরা একটি বিবৃতি জারি করে গ্রামবাসীদের জানিয়ে দেয়, পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয়রা যেন না আসেন। যেহেতু সেখানে বিপুল পরিমাণে আইইডি পোঁতা হয়েছে।
চলতি বছরে শুধু ছত্তিশগড়ে ১৫০ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। এর মধ্যে ১২৪ জন খতম হয়েছে বস্তার ডিভিশনে। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলায় ৮ নকশালপন্থী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদীর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা।
