সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ভাইঝির প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি। রাগে প্রেমিকের মা ও দাদাকে কোপাল তরুণীর কাকা ও ছেলে! ঘটনায় গুরুতর জখম মিঠু সাধুখাঁ ও শিবা সাধুখাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তরা পলাতক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আহত পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিরার রাতে টোটো করে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছিলেন মিঠু ও তাঁর বড় ছেলে। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের টোটো থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে আহত দু'জন শক্তিনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত মিঠু সাধুখাঁ বলেন, "আমার ছোট ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশী এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওদের বাবা-মা সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। তবে ওই মেয়ের কাকা ও তার ছেলে তা মানতে নারাজ। এদিন বড় ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় আমাদের টোটো থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে ওরা।" আহত শিবার কাকা সুদেব সাধুখাঁ বলেন, "মেয়েটির কাকা আগে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছিল। এদিন ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় আমার বড় ভাইপো ও ওঁর মাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে মেয়েটির কাকা ও তার ছেলে।"
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ভীমপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি, এই থানা এলাকায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে তাঁর মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এই ঘটনায় এলাকায় জনসাধারাণের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।