অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বৃষ্টির বিরাম নেই উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। আর তার ফলেই বাড়ছিল আশঙ্কা। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ফের পাহাড়ে নামল ধস। এবার ঘটনাস্থল দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) শ্বেতীঝোড়া। রবিবার রাতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। রাস্তা ফাঁকা থাকায় হতাহতের কোনও খবর নেই। চলছে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। ধসের জেরে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিম্পং ও সিকিমের। পর্যটকদের ঘুরপথে যাতায়াতের কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
শ্বেতীঝোড়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে খুব কম সময়েই কালিম্পং (Kalimpong) থেকে সিকিম (Sikkim) যাওয়া যায়। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ওই রাস্তাতেই নামে ধস। প্রবল বৃষ্টিতে মাটি আলগা থাকার ফলে বড় পাথর নেমে এসেছে জাতীয় সড়কে। সোমবার সকাল থেকেই জাতীয় সড়কে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। চলছে পাথর সরিয়ে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। তবে কতক্ষণে আবারও জাতীয় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ধসের ফলে কালিম্পং এবং সিকিম সড়ক পথ বিচ্ছিন্ন। পর্যটকদের ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: প্রেমঘটিত কারণ নাকি অন্য কিছু? নিমতায় তৃতীয় লিঙ্গের সুমনার খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা]
একটানা বৃষ্টির ফলে ধস যেন পাহাড়ে লেগেই রয়েছে। গত শুক্রবার ২৯ মাইলের কাছে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে (NH-10) ধস নামে। তার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দার্জিলিং ও সিকিম। তার আগে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলছিল। মামখোলায় আচমকাই নামে ধস। ৫ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর ধনসিং ভাণ্ডারি নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় আরও ২ জনকে উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শ্বেতীঝোড়ায় ধস। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সোমবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙে দু-এক পশলা প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি তিন জেলায় আরও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টি।