সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূপতিনগর কাণ্ডে ওঠা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করল এনআইএ। যে অভিযোগ উঠেছে তা দুর্ভাগ্যজনক বলেই বিবৃতিতে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। এনআইএ-র আরও দাবি, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। কাউকে কোনওরকম হেনস্তা কিংবা প্ররোচনা না দেওয়া সত্ত্বেও ভূপতিনগরে গিয়ে হামলার শিকার হন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আইন মেনে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এনআইএ-র কাজে বাধা দেওয়া হয় বলেই দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির।
পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে। যেখানে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ তদন্ত শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: ধর্মতলার বহুতল মলে বজ্রপাত! ভাঙল পিলার, অল্পের জন্য রক্ষা পথচারীদের]
এই মামলার তদন্তে লোকসভা ভোটের মুখে কার্যত কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দফায় দফায় বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে। যদিও কেউ তলবে সাড়া দেননি। লোকসভা ভোটের মুখে ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল নেতাদের তলব করা হচ্ছে বলেই দাবি শাসক শিবিরের। নোটিস পাওয়া সত্ত্বেও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাইচরণ মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানা হাজিরা দেননি। সে কারণেই তাঁদের গ্রেপ্তার করে এনআইএ। ধরপাকড়ের সময়ই বিপত্তি। এনআইএ আধিকারিকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল তৃণমূল। শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ-র অভিযান ও দুই নেতাকে গ্রেপ্তারিতে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বের পালটা চাপ দিতে শুরু করলেন শাসক শিবিরের নেতারা। অভিযোগ, এই ঘটনায় এনআইএ এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে। তা পূর্বপরিকল্পিত। নথি প্রকাশ্যে এনে কুণাল ঘোষের, বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২০২২ সালের পুরনো মামলার তদন্তে গিয়ে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর তাতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মূল ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই অভিযোগ নস্যাৎ করে ফের পালটা বিবৃতি দিল NIA।