সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। এই অবস্থায় অনুপ্রবেশ আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে হিংসার বার্তাও উঠে আসছে। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি ঢোকার আশঙ্কার কথাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য এবার নদিয়ার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় শক্তি বাড়াল বিএসএফ।
বাংলাদেশে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। সীমান্ত পেরিয়ে এপারে অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও থাকছে। গতকাল রবিবার থেকেই নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, করিমপুর থেকে গেদে পর্যন্ত ১৬২ কিমি সীমান্ত রয়েছে। চাপড়া, হৃদয়পুর, গেদে, করিমপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা অরক্ষিত। স্বাধীনতার পর থেকে এত বছর হয়ে গেলেও কাঁটাতারের বেড়া নেই। কোথাও বাঁশের সাহায্যে সীমান্তে দুই বাংলা ভাগ হয়ে রয়েছে। আবার অনেক জায়গাতে তাও নেই। বাংলাদেশের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে এইসব এলাকাই চিন্তা বাড়াচ্ছে বিএসএফের। অনুপ্রবেশ দুশ্চিন্তা তো আছেই। পাশাপাশি চোরাচালানও বাড়তে পারে। সেই সব বিষয়কে সামনে রেখেই জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হল।
এখন থেকে ২৪ ঘন্টা সীমান্তে টহলদারি চলবে। সেই কথাও জানাচ্ছে বিএসএফ। ১৯৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের তিন কোম্পানি বাহিনী নদিয়ার সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকে। আরও বিপুল সংখ্যায় জওয়ান বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের চেকপোস্টগুলিতে অবিরাম নজরদারি চলছে। ফাঁক গলে কারও যাওয়া কার্যত অসম্ভব। সাধারণ মানুষদের সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে জওয়ানরা কথা বলছেন। বাংলাদেশের ঘটনায় এপারের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও উদ্বিগ্ন। তাঁদেরও আশ্বস্ত করছেন জওয়ানরা। সাধারণ মানুষদের উপর আঁচও পড়বে না। সেই কথাও বলা হচ্ছে।