শান্তনু রায়, জলপাইগুড়ি: ‘আবাস যোজনা’র তালিকা নিয়ে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেসব খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে তারই মধ্যে ‘পদ্মশ্রী’ (Padmasree) পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পীর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। ‘পদ্মশ্রী’ সংগীতশিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়ের অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojona) প্রথম তালিকায় তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। কেন এমনটা হল, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও এনিয়ে প্রশাসনের নির্দিষ্ট যুক্তি আছে। আগেই মঙ্গলাকান্ত রায় সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন, তাই ফের তিনি আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে পারেন না।
কী কী শর্তে কেউ আবাস যোজনায় (Awas Yojona) ঘর পাবেন, তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। সমীক্ষা করে সেই শর্ত অনুযায়ী প্রাপকদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাতে আবার বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে নানা জায়গায়। শাসক ঘনিষ্ঠ অনেকে পাকা বাড়ির মালিক হয়েও আবাস যোজনার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার সেই আবাস যোজনার তালিকা নিয়েই সরব হলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা, সদ্য ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়। তাঁর অভিযোগ, আবাস যোজনার প্রথম তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের ডানা ছাঁটবে তৃণমূল? সায়নী ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা]
মঙ্গলাকান্ত রায় ময়নাগুড়ির গ্রামে কাঠের দোতলা একটি বাড়িতে থাকেন। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী। ছেলেমেয়েরা সবাই বাইরে থাকেন। ২০১৭ সালে বঙ্গরত্ন পুরস্কার পাওয়ার পর রাজবংশী সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন সংগীতশিল্পী। সেই বাড়িতেই থাকেন। এলাকার বিডিও শুভ্র নন্দী জানিয়েছেন, ”উনি আগেই একটি বাড়ি পেয়েছেন সরকারি প্রকল্পের আওতায়। শর্ত অনুযায়ী একবার বাড়ি পেয়ে গেলে তিনি আর পাবেন না। সেই শর্ত মেনেই আবাস যোজনার দ্বিতীয় তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে তাঁর। নিয়ম বহির্ভূত কিছুই হয়নি।”