অর্ণব দাস, বারাকপুর: পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে 'খেলা অনেক বড়' বলে জল্পনা উসকে ছিলেন মলয় রায়। কিন্তু সোমবার ইস্তফা গ্রহণের বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকের আগের দিনই ঠিক উলটো শুরু শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, "দল যাকে চেয়ারম্যান করবে সমর্থন করব, সমস্ত রকম সহযোগিতা করব।" গোপন ব্যালটে ভোট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আগেও তিনি জলঘোলা করেছিলেন। যদিও রবিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মলয়বাবু দাবি করেন, "সোমবারের বৈঠকে ভোট ছাড়াই আমার ইস্তফা পাশ হবে।"
৯৩ সাল থেকে টানা কাউন্সিলর রয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা থাকার পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব সামলেছেন মলয় রায়। এরজন্য দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁর সংযোজন, "দলের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। এটা আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দল করি, আগামী দিনেও করব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে মাথায় তুলে নিয়ে ইস্তফা করেছি। এখন আমার অবসরের জীবন। পরবর্তীতে যদি মুখ্যমন্ত্রী কোনও দায়িত্ব দেন, সেটাও পালন করবো।" অমরাবতী মাঠ বিক্রির চক্রান্ত-সহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগে দল ক্লিনচিট দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, একাধিক তির্যক মন্তব্য সহ পদত্যাগ পত্রে মলয় রায়ের 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ' লেখা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিল। সোমবার বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে আগে এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হলে মলয় রায়ের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরেরাও তাকে সমর্থন করেননি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর পদত্যাগকে সমর্থন করবেন জানালে উলটে চাপে পড়ে যান মলয়। তাই এই ভোলবদল বলেই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।