অর্ণব দাস, বারাকপুর: রেশন দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আমজনতার রেশন নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবয়াসী, রেশন ডিলাররা ইডির (ED) স্ক্যানারে। রেশন বণ্টন ব্যবস্থায় গরমিল অনেকটাই ধরা পড়েছে। জোরকদমে রেশন দুর্নীতির কিনারা করতে নেমেছেন ইডি আধিকারিকরা। এর মাঝেই বিভিন্ন রেশন দোকানগুলির (Ration Shop) পরিষেবা নিয়ে উঠছে অভিযোগ। কোথাও স্লিপে লেখা পরিমাপের চেয়ে কম খাদ্যসামগ্রী দেওয়া, কোথাও আবার লাইনে দাঁড়িয়েও সময়মতো রেশন না পাওয়ার ধারাবাহিকতায় জেরবার গ্রাহকরা।
এবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির এক রেশন দোকানে তেমনই অভিযোগ উঠল। গ্রাহকরা জানালেন, প্রায় প্রতি মাসে রেশন তোলার লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়। অভিযোগ, রেশন দোকানে কেউ থাকেন না। থাকলেও জানান, এই মুহুর্তে খাদ্যসামগ্রী নেই, পরের মাসে মিলবে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ শোরগোল এলাকায়।
[আরও পড়ুন: দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ! হকারদের ঋণদানে শীর্ষে বাংলা]
পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ৩২ নং ওয়ার্ডের ৩৯৮ নং রেশন দোকান। এই দোকান ঘিরেই যত অভিযোগ গ্রাহকদের। বুলু দত্ত, শিপ্রা সরকারদের অভিযোগ, তাঁরা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে রেশন দোকানে আসেন। কিন্তু দেখতে পান, দোকান খোলা, খাদ্যসামগ্রীও রয়েছে। কিন্তু দোকানে কেউ নেই। ফলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁদের। শিপ্রাদেবী জানান, এক, দু মাসে রেশন পাওয়া যায় না। পরে তৃতীয় মাসে হয়ত একবারে তিনমাসের রেশন দেওয়া হয়। এতে যথেষ্ট সমস্যা হয় তাঁদের।
[আরও পড়ুন: পাটের পর প্লাস্টিক, হাওড়ার গুদামে ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড]
৩৯৮ নং রেশন দোকানে অনিয়মিত পরিষেবার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শম্ভু চন্দ। তবে তিনি দোষ চাপিয়েছেন দোকানদার রাহুল সাহার উপর। মঙ্গলবার এনিয়ে এলাকায় শোরগোল শুরু হতেই পলাতক রাহুল সাহা। কাউন্সিলর জানাচ্ছেন, বছর দুই ধরেই এই রেশন দোকান নিয়ে এই অভিযোগ উঠছে। তিনি জানতেন। তবে মঙ্গলবার গ্রাহকরা (Customers) সরাসরি তাঁর বাড়ি গিয়ে অভিযোগ জানানোয় তিনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গণ আবেদন সংগ্রহ করেছেন। তা নিয়ে খাদ্যদপ্তরের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।