সন্দীপ চক্রবর্তী: শাড়ির দোকানের সেলস গার্ল থেকে ১০৩ কোটি টাকার মালকিন! এহেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) জনপ্রতিনিধি হওয়ার রাস্তাও প্রায় পাকা করে ফেলেছিলেন! বছরে দেড় কোটি টাকার জীবনবিমার প্রিমিয়াম ‘অপা’র। ইডির (ED) দাবি অনুযায়ী, নগদ প্রায় ৫৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এবার ফঁাস হল, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নতুন তথ্য। গত পুরভোটে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কামারহাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী করার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই (Partha Chatterjee)।
সেই সময় অবশ্য দলেরই উত্তর ২৪ পরগনার সক্রিয় নেতৃত্বের বাধায় পার্থর ‘মনোবাঞ্ছা’ পূরণ হয়নি। তৃণমূলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতারা পার্থকে স্পষ্টই প্রশ্ন করেছিলেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কে? দলের সঙ্গে তঁার কী সম্পর্ক? স্থানীয় স্তরে নেতারা অর্থাৎ বিধায়ক মদন মিত্র বা গোপাল সাহারা সায় দিলেই তবে প্রার্থী করা যাবে। এই মহিলাকে কেউ চেনেনই না। তবে পার্থ এত তদ্বির করছেন কেন? বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার অনুরোধও করেছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিব। কিন্তু অন্য নেতারা গেঁা ধরায় আর বেশি দূর এগোয়নি।
[আরও পড়ুন: DA মামলায় হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের, মেটাতেই হবে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ]
অর্পিতাকে জিতিয়ে এনে কামারহাটি পুরসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসানোর ইচ্ছাও নাকি ছিল পার্থর। আসলে, যে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অর্পিতার মা থাকতেন, সেই এলাকার তৃণমূল নেতারাও অর্পিতাকে তেমনভাবে চিনতেনও না। একটি বস্ত্রবিপণিতে সেলস গার্লের কাজ করতেন অর্পিতা। সেখানেই পার্থ অর্পিতাকে দেখেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এটা ছিল অনেকটা ‘প্রথম দর্শনেই প্রেম’-এর মতো। বিপণিতে যাতায়াতের সুবাদে পার্থ সরাসরি অর্পিতাকে ডেকে নাম-ধাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন। নিয়েছিলেন ফোন নম্বরও। সেই তথ্যও তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে। এছাড়া নিউ বারাকপুরের একটি রেস্টুরেন্টেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল পার্থ-অর্পিতার। অাতশ কাচের তলায় সেইসব দিনগুলিও।