সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কুলপিতে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার দুজন। ইলিয়াস হালদার এবং রউফ হোসেন হালদার নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, নিহত তৃণমূল নেতা নুরউদ্দিন হালদারের সঙ্গে ইলিয়াসের পরিবারের দ্বন্দ্ব ছিল। ২০২৩ সালে সেই বিবাদের কারণে ইলিয়াসের এক আত্মীয় আলতাজ খুন হন। দুপক্ষের মারামারিতে সেই সময় গুরুতর জখম আলতাজ হাসপাতালে মারা যান। সেই খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন নুরউদ্দিন। সেই আক্রোশেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিহত নুরউদ্দিন হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির দৌলতপুরের বাসিন্দা।
গাজীপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা-আটটা নাগাদ নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাই ইসমাইল। বাড়ি থেকে তিন-চার মিনিট দূরে রাস্তার উপরেই দুষ্কৃতীরা তাঁদের ঘিরে ধরে। প্রথমে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি, বোমা ছোঁড়া হয়। এর পর তৃণমূল নেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তৃণমূল নেতার ভাই ইসমাইলও।
রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান দুজনে। সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন। দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। ততক্ষণে অবশ্য দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয়। তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাইকে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে তৃণমূল নেতার ভাই এখনও চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ধৃত ইলিয়াস হালদার এবং রউফ হোসেন হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টায় তদন্তকারীরা।