অর্ণব দাস, বারাসত: শুধু জাল পাসপোর্টই নয়। বারাসত, কদম্বগাছি সংলগ্ন এলাকায় জাল বার্থ সার্টিফিকেট চক্রেরও রমরমা। জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয় সমরেশ বিশ্বাস ও মুক্তার আলম। তাদের জেরা করে তাতেই চোখ কপালে ওঠা তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে লালবাজারের হাতে প্রথমে সমরেশ বিশ্বাস। তারপর বারাসত ১নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মুক্তারকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ধৃত এবং তার স্ত্রীর প্যান কার্ড আধার কার্ড ও ব্যাঙ্কের নথি। সূত্রের খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে, বারাসত ১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের নামে একাধিক জাল ব্যর্থ সার্টিফিকট ইস্যু করে তৈরি হয়েছে জাল পাসপোর্ট। সেই কারণেই তদন্তকারীরা কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায়। পঞ্চায়েতের তরফে প্রধান মাধুরী মণ্ডল ইতিমধ্যেই চিঠির উত্তর দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
শুক্রবার এনিয়ে মাধুরীদেবী বলেন, "বিগত দেড় বছর হল আমি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছি। আমার হাত থেকে এরকম কোনো বার্থ সার্টিফিকেট বেরোয়নি। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে আমাদের পঞ্চায়েতে এই সংক্রান্ত চিঠি এসেছিল। তার প্রেক্ষিতে আমরা উত্তরও দিয়েছি। পঞ্চায়েতের নাম করে কারা জাল বার্থ সার্টিফিকেট করেছে ধারণা নেই, তবে যারাই করে থাকুক তাঁরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।" বারাসত পুরসভার কাছেও জন্ম শংসাপত্র ইস্যু করা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা জানতে চেয়েছিল বলেও একটি গুজব রটেছিল। এনিয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, "এইরকম কোনও চিঠি আমাদের পুরসভা পায়নি। এখন 'ই-বার্থ' সার্টিফিকেট, তাই পুরসভার থেকে জাল বেরনো সম্ভব নয়। যদি পুরসভার নামে কেউ জাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করে থাকে তার দায় আমাদের নয়।"