গৌতম ব্রহ্ম: নতুন বছরে দুঃসংবাদ! আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়তে চলেছে পাঁউরুটির দাম। কয়েকটি উৎপাদনকারী সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ২০০ গ্রাম ও ৪০০ গ্রাম পাঁউরুটির দাম বাড়ছে। যদিও ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, দামবৃদ্ধির কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা। কয়েকটি সংস্থা নিজেদের মতো করে দাম বাড়িয়ে কালোবাজারি বা সিন্ডিকেট চালাতে তৎপর। তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। তবে সিদ্ধান্ত যারই হোক, এই সিদ্ধান্তে একেবারে হতাশ মধ্যবিত্ত। গড়ে ৪ থেকে ৬ টাকা দাম বাড়ায় নিত্যদিন পাঁউরুটি খাওয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি।
২০০ গ্রাম পাঁউরুটির দাম ছিল ১৮ টাকা। দুটাকা দাম বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নতুন দাম ১৮ টাকা। একইরকমভাবে ৪০০ গ্রাম পাঁউরুটি পাওয়া যেত ৩২ টাকায়। তা বেড়ে হচ্ছে ৩৬ টাকা। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেছে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি, ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তা জানিয়েছেন প্রশান্ত কুমার সাহা ও ইমরান আলি। তাঁদের যুক্তি, সম্প্রতি যেভাবে ময়দা, ভোজ্য তেল, ইস্টের দাম বেড়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং জনস্বার্থে দাম খানিকটা বাড়াতে হচ্ছে।
জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির তরফে দামবৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি।
তবে এই সিদ্ধান্ত একান্ত দু-একটি সংগঠনের। এমনই দাবি করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার। তিনি ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, বেকার্স অ্যাসোসিয়েশন এই মুহূর্তে পাঁউরুটির দামবৃদ্ধির কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। উলটে যে সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে বর্ধিত নতুন দাম ছাপিয়ে পাঁউরুটির প্যাকেট বাজারে এনেছে, তারা সিন্ডিকেটে কাজ করছে। এনিয়ে গত ১ তারিখ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে এও জানানো হয়েছে, বিগত ৪০ বছরের মধ্যে কোনওদিন উৎসবের মরশুমে অর্থাৎ ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রিসমাস, ইংরাজি নববর্ষে কেক, কুকিজের চাহিদার কথা মনে রেখে দামে রাশ টানা হয়। কিন্তু এবছর যারা দাম বাড়াল, তারা অসাধু বলে সরাসরি তোপ দেগেছেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ফলে দাম বাড়ানো আর না বাড়ানোর মাঝে কিছুটা বিভ্রান্ত আমজনতা। আগামী ৫ তারিখ থেকে কত দামে পাঁউরুটি কিনবেন, এখনও জানেন না তাঁরা।