দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাড়িতে অশান্তি চলছিল। যার জেরে মা খানিকটা বকাবকি করেছিলেন। মারধরও করেন বলে অভিযোগ। আর তারপরই ঘর থেকে উদ্ধার হল নবম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানা এলাকার এই ঘটনায় পরিবারের অনুমান, বিষ পান করে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, এমন কিছুই হয়নি যাতে মেয়ে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেহ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
মৃত বছর চোদ্দর ছাত্রী জীবনতলার সারেঙ্গাবাদ ইটখোলা হাই স্কুলে পড়াশোনা করত। বাবা সামান্য সবজি চাষ করে কোনওক্রমে সংসার চালান। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। তার জেরে মা মেয়েকে বকাবকি করেছিলেন। তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার এনিয়ে অশান্তির পর ঘর থেকে ছাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে মৃতার সহপাঠীদের বক্তব্য, নবম থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার টাকা জোগাড় করতে না পারায় সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই আত্মহত্যা।
পরিবারের অনুমান, এই সময়ে শীতের সবজি চাষের জন্য জমি পরিষ্কার করতে কীটনাশক মজুত করেছিলেন বাবা। সেই রাসায়নিক খেয়েই আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এসডিপিও জানান, ''এক কিশোরীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তবেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।''