অর্ক দে, বর্ধমান: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না করেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা-ও আবার অবসরের চারদিন আগেই। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ হইচই শুরু হয়েছে। তার মাঝেই সাসপেন্ড করা হল বর্ধমান রাজ কলেজের প্রিন্সিপালকে। আর্থিক অনিয়ম, কর্তব্যে গাফিলতি-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডলের বিরুদ্ধে।

বর্ধমান রাজ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপনকুমার পান জানান, প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি, তহবিলে অনিয়ম-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ অবশ্য আগেই জমা পড়েছিল। কিন্তু তখন কিছু জানানো হয়নি। কারণ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলচ্ছিল। তবে তদন্তে অভিযোগ সঠিক বলেই প্রমাণিত হয়। কলেজ সূত্রে খবর, তিন মাস আগেই নিরঞ্জন মণ্ডলকে শোকজ করেছিল কলেজ পরিচালন সমিতি। তাঁর কাছ থেকে জবাব আসতেই শুক্রবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠক বসে। প্রিন্সিপালের দেওয়া জবাব নিয়ে পরিচালন সমিতির সদস্যরা আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপনকুমার পান বলেন, "প্রিন্সিপালের উত্তর সঠিক নয় বলে বিবেচিত হওয়ায় পরিচালন সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।"
এই ঘটনা নিয়ে কলেজের অন্দরে শুরু জোর চর্চা। ছাত্রছাত্রীরাও পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তবে প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, "কলেজে কর্মীর অপ্রতুলতা, অ্যাকাউন্টসের কাজ করার মতো নির্দিষ্ট কর্মী না থাকা এবং অসহযোগিতার জন্যই সংশ্লিষ্ট সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব। আমি কোনও আর্থিক অনিয়ম করিনি।" সাসপেনশনের ফলে বর্তমানে নিরঞ্জন মণ্ডলের জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজয় চাঁদ।