সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পতৌদি পরিবার নিঃসন্দেহে ভারতীয় ক্রিকেট দুনিয়ার 'রাজপরিবার'। ইফতিখার আলি খানের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে মনসুর আলি খান, স্বর্ণাক্ষরে সেই মাইলস্টোন এঁকে দিয়েছিলেন। পিতা-পুত্র উভয়েই ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। যা কিনা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে পরবর্তীতে এযাবৎকাল আর হয়নি। ভোপালের সেই নবাব পরিবারকে সম্মান জানিয়েই শুরু হয় পতৌদি ট্রফি। যা বর্তমানে অবসরের পথে। ২০০৭ সালে ভারত-ইংল্যান্ড ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরুয়াত। তবে আঠেরো বছরের পথ চলায় এবার যতিচিহ্ন। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ডের এহেন সিদ্ধান্তে মন খারাপ শর্মিলা ঠাকুরের।
কী প্রতিক্রিয়া দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী? বলিউড সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ওঁদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে সইফের (আলি খান) কাছে ইসিবি'র তরফে একটি চিঠি দিয়ে পতৌদি ট্রফি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এবার বিসিসিআই যদি টাইগারের (মনসুর আলি খান) উত্তরাধিকার মনে রাখতে চায় বা না চায়, তবে সেটা একান্তই তাদের সিদ্ধান্ত।" উল্লেখ্য, পতৌদি ট্রফি বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এহেন পদক্ষেপকে ভালো মনে নেননি। একাংশ আবার আক্ষেপ প্রকাশও করেছেন পতৌদির 'স্মৃতিচিহ্ন' মুছে ফেলার জন্য। এবার মন খারাপ করা প্রতিক্রিয়া এল শর্মিলা ঠাকুরের তরফে।
দেশের হয়ে ১৯৬১-৭৫ সাল পর্যন্ত ৪৬টি টেস্ট খেলেছেন মনসুর আলি খান পতৌদি। সূত্রের খবর, "একটা সময়ের পর যে কোনও ট্রফির নাম বদলাতে হয়। এক্ষেত্রেও হয়তো এমনই হতে চলেছে। এটা সম্পূর্ণভাবে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ব্যাপার।" উল্লেখ্য, ২০০৭ ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ডের টেস্ট অভিষেকের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই ট্রফি প্রথমবার দেওয়া হয়। সে বছর ইংল্যান্ডে গিয়ে পতৌদি ট্রফি জিতেছিল ভারত। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের উদ্যোগে ট্রফিটির নামকরণ করা হয়েছিল। ট্রফিটির নামকরণ পতৌদির পরিবারের নামে। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ড ও ভারত- দুই দলের হয়েই ইফতিফার আলি খান পতৌদি তিনবার খেলেছেন। ইফতিখারের ছেলে মনসুর আলি খান পতৌদি। তিনি ভারতীয় দলকে দীর্ঘ সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিজয়ের প্রতীক হিসেবে পতৌদি ট্রফি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল এতদিন।