অরিজিত গুপ্ত, হাওড়া: একেবারে অভিনব কায়দায় হাওড়া স্টেশন থেকে পার্সেলে করে পাচারের আগেই উদ্ধার ৩৭ লক্ষ ৬৪ হাজার নগদ টাকা। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ। এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাওয়ালার টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে ঘটনার তদন্তে নামল আয়কর দপ্তর। শুধু তাই নয়, হাওয়ালার মাধ্যমে বিপুল টাকা জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় ধৃত টুনু কুমার যাদবকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছেন আয়কর কর্তারা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিপুল এই টাকা উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে সন্দেহজনক কিছু পার্সেল। ওই পার্সেলের চারটি ব্যাগ একটি ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় রেল পুলিশ পার্সেল গুলিকে আটক করে। এবং সেগুলি খুলতেই একেবারে চমকে ওঠেন রেল পুলিশ। দেখেন, চারটি ব্যাগে রাশি রাশি নোট। এই বিষয়ে টুনু কুমার যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। শুধু তাই নয়, জিজ্ঞাসাবাদে বছর ৩৪-এর ওই যুবক জানায়, ব্যাগে থাকা টাকা দেরাদুন এক্সপ্রেসে করে বারাণসীতে পৌঁছে দেওয়াই কাজ ছিল। শুধুমাত্র 'বাহক' হিসাবেই কাজ করছিল সে। শুধু তাই নয়, ধৃত টুনু কুমার যাদব কলকাতা থেকে ওই টাকা সংগ্রহ করেছিল বলেও তদন্তকারীদের জানায়। এর পরই রেল পুলিশের তরফে আয়কর বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। আয়কর বিভাগের হাতে ধৃত যুবককে তুলে দেওয়া হয়। তারাই ঘটনার তদন্ত করছে। এই টাকা কার? কেন ওভাবে হাওড়া স্টেশন দিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? এই টাকা হাওলার টাকা কি না সবটাই তদন্ত করে দেখছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে রেল পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানালেন, হাওড়া স্টেশনে এই প্রথম এভাবে পার্সেলে করে এত বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। আয়কর বিভাগ বিষয়টি দেখছে।''
