সুব্রত বিশ্বাস: কখনও বাংলা তো কখনও ভিনরাজ্য। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ‘পাথর হামলা’ লেগেই রয়েছে। শুক্রবার আবার একদিনে তিনবার হামলার শিকার হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেমি হাইস্পিড ট্রেন বারবার আক্রান্ত হওয়া রক্তচাপ বাড়াচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষের। কে বা কারা এই কাজ করছে, তার তদন্তে আরও তৎপর আরপিএফ।
বছরের শুরু থেকে রাজ্যের প্রথম সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়। তারপর থেকে বারবার ওই ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়। প্রথমবার মালদহ ঢোকার পথে কুমারগঞ্জ, পরদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, তৃতীয়দিন অর্থাৎ বিহারের বারসোই স্টেশন ছাড়ার পর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ৯দিনে চতুর্থবার গত ৯ জানুয়ারি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর হামলার অভিযোগ ওঠে। ওইদিন সকাল ৬টা ৪০মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে হুগলির চন্দনপুরের কাছে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। তার ফলে ট্রেনের সি ফাইভ কামরার জানলার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তাপসকে ঘুষ দিইনি বলে এই হাল’, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল]
তার ঠিক এগারো দিনের মাথায় পেল্টা ও ডালখোলা স্টেশনের মাঝে শুক্রবার বিকেলে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনা ঘটে। শুধু বাংলায় নয়। ভিন রাজ্যে হামলার শিকার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওই একইদিনে নিউ দিল্লি-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং বিলাসপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও হামলার অভিযোগ ওঠে। একইদিনে তিনবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনায় চিন্তিত রেল কর্তৃপক্ষ।
ভারতের সেমি হাইস্পিড ট্রেনে হামলার নেপথ্যে রাজনীতি নাকি তার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। কে বা কারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখতে তৎপর রেল কর্তৃপক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে শুরু হয়েছে জোর তদন্ত।