সুমন করাতি, হুগলি: বর্ধমান, নদিয়ার পর হুগলি (Hooghly)। এবার আধার কার্ড বাতিলের চিঠিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির মগরায়। শনিবার বিকেলের পর মগরা-১ পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫০ জন বাসিন্দার কাছে স্পিড পোস্ট মারফত কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার (ইউআইডিএআই) চিঠি এসে পৌঁছয়। আর তাতেই শোরগোল এলাকায়। যাঁরা চিঠি পেয়েছেন তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কে।
জানা গিয়েছে, যে চিঠি হুগলির বাসিন্দাদের নামে এসেছে তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, চিঠির প্রাপক ২০১৬ সালে পাশ হওয়া আইনের শর্ত পূরণ করেননি। সেই আইনের ২৮(এ) ধারা অনুসারে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাসের জন্য যোগ্য নথি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে সেই কাজ করতে বা চিঠির অভিযোগে আপত্তি থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তা জানানোর কথা বলা হয়েছে। তবে তা করতে হবে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে সংস্থার রিজিওনাল অফিসে গিয়ে। যা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সহবাসের পর বিয়েতে ‘না’, প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর]
মগরার মাঠপাড়ার এক ব্যক্তি শনিবারই চিঠি পেয়েছেন। তিনি বলেন, “আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে। এখন কী করব জানি না। সরকারি সুযোগসুবিধা পাব কি না, তাও বুঝতে পারছি না।” মগরা-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঘুনাথ ভৌমিক বলেন, “বেশ কিছু বাসিন্দা আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি পেয়েছেন। আমরাও জানি না, এর পরে কী হবে। সোমবার ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্ট অফিসে গত শনিবার প্রায় ৭০ টি চিঠি এসেছে। যার মধ্যে অনেকগুলি শনিবার বিলি করা হয়নি। ফলে, আজ সোমবার আরও অনেক বাসিন্দার বাড়িতে আধার বাতিল হওয়ার চিঠি যাবে। যাঁদের আধার বাতিল করা হচ্ছে তাঁদের রেশন-সহ অন্যান্য পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার পঞ্চায়েতের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে ধন্ধে পড়েছেন পঞ্চায়েত কর্তারাও।