দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের বেলাগাম তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। নাম না করে আরাবুল ইসলামকে আক্রমণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর নিশানায় ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আরাবুল ইসলাম জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই ভাঙড় এলাকায় চাপা উত্তেজনা শুরু হয়েছে। আরাবুল ও নওশাদ গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদও দেখা যাচ্ছে। সেই সবের মধ্যেই আরও একবার কড়া আক্রমণ করলেন শওকত মোল্লা।
শওকত বলেন, "একজন আছেন হাফ প্যাসেঞ্জার। কোর্টের একটা রায়ে তিনি উজ্জীবিত হয়ে বলছেন, আমি ভাঙড়ের শেষ কথা। ভাঙড়ের জন্য যা কিছু করার সব আমিই করেছি। তাহলে এই মঞ্চে যারা বসে আছে, তারা কারা? এই মঞ্চে সমস্ত অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা বসে আছে। তাহলে কি এরা কিছু করেনি দলের জন্য?"
আইএসএফের মাধ্যমে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। হাই কোর্টে পাঁচটি পিটিশন করা হয়েছিল। সেই কথাও মঞ্চ থেকে বলেন তৃণমূল বিধায়ক। রবিবার শোনপুরে একটি সভায় একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। শওকত মোল্লা বলেন, "অনেক চক্রান্ত করেছে আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু কিছু করতে পারেনি। এই সমস্ত বেইমানদের আপনারা চিনে রাখুন। এই বেইমানরাই ২০২৪ সালে জেলের মধ্যে ছিল। তখন আমরা ৮৭ হাজার ভোটে জিতেছি। আমার উপর আপনারা ভরসা রাখুন, ২০২৬ সালে এই ভাঙড় বিধানসভা থেকে তৃণমূলের বিধায়ক এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতবেন।" পঞ্চায়েত সমিতি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগও করেছেন তিনি। সাধারণ মানুষ কার দিকে থাকবেন? সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন শওকত।
সভামঞ্চ থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেন, "আর একজন আছেন আইএসএফের দালাল। ১৫ বছরের বাচ্চা ছেলেদের হাতে গুলি, বোমা বন্দুক তুলে দিয়েছেন। ভাঙড়কে অশান্ত করে দিয়েছেন। এদেরকে আর কোনও সুযোগ নয়। ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় এসে একটাই ভালো কাজ হয়েছে। আইএসএফের সমস্ত সমাজবিরোধীদের তারা ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এক বছর ধরে ভাঙড়ে আর বোমার কোনও আওয়াজ নেই।"
শওকত মোল্লার বক্তব্যের পালটা দিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা জেলা পরিষদ সদস্য রাইনুর হক। তিনি বলেন, ভাঙড়ে যা কিছু অশান্তি, সবই শওকত মোল্লার জন্য। শোনপুরে যে সভা হয়েছে, তা পুরোপুরি ফ্লপ।