অর্ণব দাস, বারাকপুর: ১৯৯৫ সাল থেকে টানা পাঁচবারের কাউন্সিলর। ২০০২ সালের এসআইআরের সময়ও খড়দহ পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন তাপস দাসগুপ্ত। অথচ প্রাক্তন এই কাউন্সিলরের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়দহ জুড়ে। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বিজেপিকেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দহের শ্যামসুন্দর ঘাট রোডের বাসিন্দা তাপস দাসগুপ্ত ১৯৯৫ সালে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। ২০০০ সালে তৃণমূলের কাউন্সিলর হন। এরপর একটানা ২০২০ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে কাউন্সিলরের টিকিট না পেলেও বর্ষীয়ান তাপসবাবু দলের কাজে সব সময় যুক্ত। এসআইআরের ঘোষণা হতেই কমিশনের প্রকাশিত ২০০২ সালের সালের ভোটার তালিকায় দেখা যায় নাম নেই তাঁর। এনিয়ে তাপসবাবু বলেন, "২০০২ সালের এসআইরের সময় কত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে সাহায্য করি। অথচ, আমার নাম নেই ২০০২ সালের তালিকায়। যেদিন থেকে ভোট দেওয়ার বয়স হয়েছে, নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছি। আমার ভাই ও বোনের নামও তালিকায় নেই। শুনছি, আমার মতো এলাকার অনেক মানুষের নাম তালিকায় নেই। আমি ভোটার না হলে কীভাবে ১৯৯৫ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর হলাম!"
এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের নমশুদ্র উদ্বাস্তু সেলের জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দন রায় জানিয়েছেন, "তাপসবাবু ছাড়াও খড়দহে পাঁচ-ছয় পুরুষ ধরে বসবাস করে এমন বহু পরিবারের নাম কমিশনের প্রকাশিত ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। তিনটি ওয়ার্ড থেকে অন্তত ৪০জন ভোটারের এমন সমস্যা হয়েছে। দলের পাশাপাশি প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।"
