shono
Advertisement

দেশের নামও বদলে দিতে পারে বিজেপি, আশঙ্কা মমতার

পাহাড়ে বাহিনী নিয়ে হাই কোর্টে আবেদন রাজ্যের।
Posted: 02:19 PM Oct 17, 2017Updated: 08:52 AM Oct 17, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহল বিতর্কে এবার নয়া মাত্রা যোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাজমহল নিয়ে বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোমের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, বিজেপি যে কোনও দিন দেশের নামও পালটে দিতে পারে। সেদিন বোধহয় খুব বেশি দূরেও নেই।

Advertisement

‘শুধু তাজমহল নয়, রাষ্ট্রপতি ভবনও ভেঙে ফেলা হোক’ ]

বিশ্বাসঘাতকের হাতে তৈরি তাজমহল দেশের কলঙ্ক। এহেন মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম। তার সমালোচনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন একাধিক নেতা। ক্ষুব্ধ আসাদউদ্দিন ওয়েসি জানিয়েছিলেন, লালকেল্লার ইতিহাসও তাহলে একই। সেখানেই বা জাতীয় পতাকা ওড়ে কেন? তাহলে মোদি সরকার তাও বন্ধ করুক। একই প্রতিক্রিয়া সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি ভবনও ইংরেজ শাসকদের হাতে তৈরি। সুতরাং সেসবও ভেঙে ফেলা হোক। এই প্রেক্ষিতেই এবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শাসকদল যা করছে তা কখনওই গণতান্ত্রিক নয়। বরং একনায়কতন্ত্রেরই নমুনা। ক্ষুব্ধ মমতার প্রশ্ন, কী করে বিজেপি নেতারা বলতে পারেন কোনটি মুসলিমের তৈরি, কোনটি খ্রিস্টানের তৈরি ইত্যাদি? তাঁর মতে, এ ধরনের মন্তব্য দেশের একতার ঐতিহ্যের পরিপন্থী। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই এ ধরনের মন্তব্য করে চলেছে বলে মত মমতার। তিনি জানান, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভাল। উন্নয়ন করা তো দূরের কথা, শুধু বিভেদমূলক মন্তব্য করে বিষ ছড়াচ্ছে নেতারা বলেই অভিযোগ তাঁর। বিস্মিত মমতার দাবি, সে দিন হয়তো খুব দূরে নেই যখন বিজেপি ভারতবর্ষের নাম পরিবর্তন করে নতুন করে ইতিহাস লেখা শুরু করবে।

জনগণের করের টাকায় কেন রামের মূর্তি, যোগীকে প্রশ্ন আসাদউদ্দিনের ]

এদিকে পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার নিয়েও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর প্রশ্ন, এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে, কেন্দ্র না বিজেপি? আর তারপরই তাঁর বিস্ফোরক দাবি, বিজেপি বাংলায় শান্তি চায় না, ভোটে আসন জিততে চায়। সে কারণেই বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে পৃথক আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। আদালতে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে পাহাড়ের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। সম্প্রতি এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাহিনীতে প্রত্যাহার ঠিক নয়। এই বিষয়ে দ্রুত শুনানির আরজি জানানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার