সুব্রত বিশ্বাস: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর দেশজোড়া খ্যাতি। অসংখ্য দর্শনার্থীর শহরে মূল প্রবেশ পথ চন্দননগর, মানকুণ্ডু ও চুঁচুড়ার মতো স্টেশন। ভিড় সামাল দিতে স্টেশনগুলিতে পরিকাঠামো মজবুত করার আরজি পুলিশের। স্টেশনে অতিরিক্ত সিসিটিভি বসানোর আবেদন জানিয়েছে তারা।
স্টেশনগুলি ঘুরে দেখে হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার পঙ্কজ দ্বিবেদী রেলকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, অসংখ্য যাত্রী সমাগমে ভিড় হচ্ছে স্টেশনগুলিতে, তাই প্ল্যাটফর্মের শেষদিকে ‘সেফটি লাইন’ টানা হোক রং দিয়ে। যা দেখে লক্ষ্মণরেখা বুঝতে পারবেন যাত্রীরা। স্টেশনের প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার পথগুলির নির্দেশ রাখতে হবে। মহিলা বগি কোথায় পড়বে, তা দূর থেকে যাতে বোঝা যায় তেমন ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এখন ভাল কাজ করছে, জট কাটতে সময় লাগবে’, পর্ষদের প্রশংসায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
স্টেশনগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর আরজি জানিয়েছে রেল পুলিশ। নজরদারির জন্য স্টেশনে আটটি সিসিটিভি অস্থায়ীভাবে লাগিয়েছে পুলিশ। ভিড়ে দুষ্কৃতীদের থেকে সাবধান থাকতে মাইকেও প্রচার চালানো হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সহযোগিতার জন্য পুলিশি বুথ বসানো হয়েছে। শেওড়াফুলি থেকে ব্যান্ডেলের মধ্যে যাত্রী নিরাপত্তায় বাড়তি পুলিশ ও আরপিএফ কর্মী মোতায়েন রাখা হয়েছে। নেতৃত্ব ডিএসপি পদের আধিকারিকরা রয়েছেন।
পুজো উপলক্ষে বাড়তি ভিড়ের জন্য বিশেষ ট্রেনও চালাচ্ছে পূর্ব রেল। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইনে চলবে বিশেষ লোকাল ট্রেন। হাওড়া-ব্যান্ডেল রুটে চলবে ৫টি জোড়া এবং এক জোড়া চলবে হাওড়া-বর্ধমান রুটে। হাওড়া-ব্যান্ডেল স্পেশ্যাল হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে বিকেল ৫ টা ২০ মিনিট এবং রাত ৭ টা ৫৫ মিনিট, ৮ টা ২৫, ১১ টা ৩০ এবং ১২টা ৩০ মিনিটে। ব্যান্ডেল থেকে এই স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি ছাড়বে সন্ধে ৬ টা ৩৫ মিনিট এবং রাত ৯ টা ২০ মিনিট, ৯ টা ৫৫ মিনিট, ১টা ও ২টা।
[আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ, ‘দলের সঙ্গে ১০০ বার আছি’, ফের বার্তা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর]
এছাড়াও হাওড়া-বর্ধমান ইএমইউ স্পেশ্যাল হাওড়া ছাড়বে রাত ১ টা ১৫ মিনিটে এবং বর্ধমান ছাড়বে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। শুধু তাই নয়, শুক্রবার বিসর্জনের দিন অতিরিক্ত একটি স্পেশ্যাল ইএমইউ রাত ২টা ৩৫ মিনিটে হাওড়া ছাড়বে এবং ব্যান্ডেল থেকে ট্রেনটি ভোর চারটেয় ছাড়বে হাওড়ার উদ্দেশে। প্রতিটি ট্রেনই সমস্ত স্টেশনে থামবে।