অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ভোগ হিসাবে লুচি, মালপোয়া, তালফুলুরি তো থাকেই। এছাড়াও থাকে মা যশোদার খেতে চাওয়া ঝাল সুজিও। আরও থাকে ‘আট ভাজা’ থেকে ‘পাঁচ ভাজা’-র মত বিভিন্ন ধরনের পদ। থাকে অন্নভোগও। জন্মাষ্টমীর (Janmasthami) দিন এমনই রকমারি ভোগ সাজিয়ে গোপালের উদ্দেশে নিবেদন করার চল রয়েছে চলচ্চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব দেবকী কুমার বসুর বাড়িতে। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) মন্তেশ্বরের কাইগ্রামের পৈতৃক ভিটেতে থাকা গৃহদেবতা রাধাবিনোদের মন্দিরে এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জমজমাট আয়োজন করা হয় বসু পরিবারের ওই মন্দিরে।
বৈষ্ণব মতে, প্রায় পাঁচশো বছর ধরে চলা মন্তেশ্বরের (Manteswar) কাইগ্রামের বসু পরিবারে রাধাবিনোদের মন্দিরে জন্মাষ্টমী পালিত হয় বেশ ধূমধামের সঙ্গে। ঠিক তার ১৫ দিন পরেই এই মন্দিরেই পালিত হয় রাধাষ্টমী উৎসবও। রাধারাণীর ভোগের জন্য সেই উৎসবে যেমন হরেকরকমের পদ ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় তেমনই জন্মাষ্টমীতেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য করা হয় ‘আটভাজা’। বাড়ির সদস্যা পিয়ালি বসু জানান, “এই আটভাজায় থাকে চালভাজা,চিঁড়েভাজা,খই,মুড়কি ভাজার। পাশাপাশি থাকে ছোলা,মটর,মাসকলাইয়ের ডাল ভাজাও। এছাড়াও দেবতার উদ্দেশ্যে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। যেখানে রাখা হয় ‘পাঁচভাজা’ অর্থাৎ ৫ রকমের ভাজাভুজি-সহ বিভিন্ন রকমের তরকারি। এছাড়াও থাকে দইবড়া। ভোগে ঝাল সুজিও রাখা হয়।”
[আরও পড়ুন: পরনে বরের নকশা করা LED লেহেঙ্গা! পাক বধূর বিয়ের সাজে হতবাক নেটদুনিয়া]
জন্মাষ্টমীর পুজোর সময় এদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে লাল চেলি পরিয়ে যেমন সাজানো হয়,তেমনই তাঁর গলায় পরানো হয় ১০৮টি তুলসিপাতা দিয়ে তৈরি মালা। বাড়ির প্রবীণ সদস্য গণেশ বসুর কথায়,“বৈষ্ণবমতে জন্মাষ্টমীর এই পুজো চলে আসছে প্রায় পাঁচশো বছর ধরে।বা ড়ির প্রাচীন রীতিনীতি মেনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জন্মাষ্টমীর পুজো করা হয়।”