সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুর: প্রবল শঙ্কায় শিল্পমহল। লকডাউনের মাঝে কেন্দ্র মাঝারি শিল্পের কাজ চালু করতে সায় দিলেও, গেটই খুলল না পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার প্রায় ১৫০ বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানার। উদ্যোগপতিদের এই বিষয়ে কোনও দিশা দেখাতে ব্যর্থ জেলা প্রশাসন। ফলে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।
২০ এপ্রিলের পর লকডাউনের মাঝেও শিল্পক্ষেত্রকে সচল করার ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেই সুবাদেই প্রস্তুতিও শুরু করে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি লৌহ-ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারখানায় উৎপাদন শুরুর কোনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। শুধু পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই ৭২ টি ছোট, মাঝারি লৌহ ইস্পাত-সহ একাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। দফায় দফায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেও কেউই কারখানা চালু করতে পারেনি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: লকডাউনেও ICDS কেন্দ্রে রেশন বিলিতে বেনিয়মের অভিযোগ, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাপকরা]
বেসরকারি ইস্পাত শিল্প সংগঠনের সভাপতি শংকরলাল আগরওয়ালের মতে, “এখনও কিছু খুলছেনা। যারা খুলতে আগ্রহী, তাদের রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। কেউ কেউ আবেদন করলেও অনেকেই এখনও করেননি। তাঁরা বুঝতে পারছেন না কী অবস্থা হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি স্তরে কোনও অনুমতি আসেনি।” যদিও মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, অনেক জায়গা থেকেই কারখানা খোলার জন্য আবেদন জমা পড়েছে। শুধুমাত্র সংক্রমিত এলাকার (Containment Zone) কোনও ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট, অন্যান্য জায়গায় শিল্প ক্ষেত্রে কাজ শুরু করতে কোনও সমস্যা নেই।
[আরও পড়ুন: কেউ যেন প্রাণ না হারায়, জীবন বাজি রেখে লড়ছেন উত্তরবঙ্গের করোনা যোদ্ধারা]
তবে কারখানার কর্মীরাও এখনই কাজে যোগ দিতে চাইছেন না বলে জানা গেছে। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঘরে বসেই যখন বেতন মিলছে, তখন কারখানায় যাওয়ার মতো তাগিদ শ্রমিকরা অনুভব করছেন না। প্রায় মাসখানেক ধরে লকডাউনের দরুন খরচ টানাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে। একদিকে উৎপাদন নেই, অন্যদিকে বহু কারখানার অর্ডারও নেই। আবার ব্যাংকের সুদ, জিএসটি কিংবা বিদ্যুতেও কোনও ছাড় নেই। কাজ না করিয়ে কর্মীদের বেতন আর কতদিন দেওয়া যাবে, তা নিয়ে শঙ্কায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
The post কেন্দ্রীয় নির্দেশেও খুলছে না রাজ্যের লৌহ-ইস্পাত শিল্পক্ষেত্রের দরজা, বাড়ছে অনিশ্চয়তা appeared first on Sangbad Pratidin.
