ধীমান রায়, কাটোয়া: মোবাইলে আসক্তি! অভিযোগ, সেই কারণে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সেজন্য মা বকাঝকা করেন। তার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার ভাতার থানার গ্রামডিহি গ্রামের ঘটনা। বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী! মৃতার নাম বর্ষা সাঁতরা। গ্রামডিহি কালিপদ হাই স্কুলের ওই ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল নিয়ে দিনের দীর্ঘক্ষণ থাকছিল ওই ছাত্রী। মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির কারণে ওই ছাত্রী পড়াশোনাতেও অত্যন্ত অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল বলে খবর। সেজন্য বাড়ির অভিভাবকরা তাঁকে বকাঝকাও করতেন বলে খবর। কিন্তু তারপরও মোবাইলের প্রতি আসক্তি ওই ছাত্রীর যাচ্ছিল না। শনিবার বিকেলে একইভাবে মোবাইল ফোন নাড়াঘাটা করছিল ওই কিশোরী। সেই ঘটনা দেখে মা তাকে বকাঝকা করেন। সেই অভিমানে নিজেকে শেষ করে দেয় ওই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়িতেই ইঁদুর মারার বিষ ছিল। সকলের অজান্তে ওই কিশোরী বিষ খেয়েছিল বলে খবর।
অসুস্থ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। আজ, সোমবার ওই ছাত্রী হাসপাতালেই মারা যায়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা পড়াশোনায় ভালই ছিল। মোবাইল নিয়ে ঘরে অশান্তি হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন পরিণতি কেউই কল্পনা করতে পারেননি। পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবেশীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ, পরিবারে যোগাযোগের ঘাটতি ও ডিজিটাল ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণহীনতা প্রায়ই বড় সমস্যার রূপ নেয়। এমন ঘটনায় পরিবার ও সমাজকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
