বাবুল হক, মালদহ: গোষ্ঠী সংঘর্ষে দিন কয়েক ধরে মালদহের মোথাবাড়ি উত্তপ্ত বলে খবর মিলেছিল। রবিবার সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমাদার। কিন্তু মাঝপথে তিনি পুলিশের বাধা পান। সুকান্তর এই সফরে বিজেপির অন্যান্য কর্মী, সমর্থকদের জমায়েতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় তাঁকে আটকানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে বলেন, ''আমি একা যেতে চেয়েছিলাম, তাতে তো কোনও ধারা লঙ্ঘিত হতো না। তবু আমাকে যেতে দেওয়া হল না। এর বিরুদ্ধে আমরা বড় আন্দোলন করব। আজই ঘোষণা করা হবে।'' এনিয়ে মোথাবাড়িতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

রবিবার সকালে মোথাবাড়ি যাওয়ার আগে ৭ কিলোমিটার দূরেই সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দেয় পুলিশ। সাদুল্লাপুর নামে ওই এলাকা যেন বাঁশের কেল্লা! বাঁশের তৈরি বিশাল ব্যারিকেড গড়া হয়েছে সাধারণের প্রবেশ নিষেধের জন্য। ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। বিজেপি রাজ্য সভাপতি প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও দ্বিতীয় ব্যারিকেডে আটকে দেওয়া হয়। এরপর রাজ্য সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন সুকান্ত, সঙ্গে মালদহ দক্ষিণের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বহু দলীয় কর্মী, সমর্থক।
বাঁশের প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি সমর্থকরা এগোনোর চেষ্টা করছেন। নিজস্ব ছবি।
এনিয়ে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ''আমি একা যেতে চাইলেও যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ এখানকার বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের জন্য সব রাস্তা খোলা। পুলিশ তো শাসকদলের হয়ে কাজ করে। এই যে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হল, কী বলব আর? আমরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার কথা জানি। এখনকার পুলিশ জেহাদি তিতুমীর। তাই এভাবে বাঁশের ব্যারিকেড গড়েছে। তবে আমরা এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করব। আজই আমি ঘোষণা করব পরবর্তী আন্দোলনের কথা।''