রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দণ্ডি কাণ্ডে ফের ST কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তাঁর অভিযোগ, মূল অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এসটি কমিশনের কাছে পদক্ষেপের আরজি জানিয়েছেন তিনি।
বিতর্কের সূত্রপাত গত ৬ এপ্রিল। রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগরে কয়েকজন মহিলা বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলে ছিলেন বলে দাবি করে বিজেপি। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তপনের জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগর থেকে শুক্রবার বালুরঘাট শহরে আসেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা। তাঁরা বেশ কিছুটা রাস্তা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে যান। সেখানে তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
[আরও পড়ুন: কাঠফাটা গরমে সিউড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে শাহি মেনুতে বিশেষ খানা]
দণ্ডির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দানা বাধে বিতর্ক। বিজেপি ঘোটা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন। জাতীয় ST কমিশনেও চিঠি লিখে অভিযোগ জানান। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করে জাতীয় ST কমিশন। পরবর্তীতে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় ২ তৃণমূল নেতাকে। এরপরই ফের ST কমিশনে চিঠি লিখলেন সুকান্ত মজুমদার। প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দণ্ডি কাণ্ডে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নাম জড়ানোর পরই কড়া পদক্ষেপ করেছিল শাসকদল। পদ থেকে অপসারিত করা হয় জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে।