ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার বিভেদমূলক, জাতপাতের রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পাগড়ি পরিহিত এক শিখ পুলিশ আধিকারিককে ‘খলিস্তানি’ বলে শুভেন্দু অধিকারীরা কটাক্ষ করেছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিজেপি কর্মীদের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল-সহ বিজেপি কর্মীদের। একইসঙ্গে সন্দেশখালির ১২ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরে অবশ্য কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতিতে সন্দেশখালি ঢোকেন শুভেন্দু এবং শংকর। ধামাখালিতে বিজেপি কর্মীদের আটকানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ সুপার জশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি কর্মীরা। যার তীব্র প্রতিবাদ জানান সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক। প্রশ্ন করেন, “কেন আমার ধর্ম নিয়ে মন্তব্য় করছেন? মাথায় পাগড়ি পরিধান করেছি বলেই কি আমি খলিস্তানি হয়ে গেলাম?” এই মন্তব্য়ের বিরুদ্ধে তিনি কড়া পদক্ষেপ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এর প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপির সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: যাবে না চাকরি, বরং তৈরি হবে নতুন সুযোগ, কৃত্রিম মেধার প্রসার নিয়ে দাবি IBM কর্তার]
বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বিজেপির মতে পাগড়ি পরিহিত সকলেই খলিস্তানি! বিজেপির বিভেদমূলক রাজনীতি সংবিধানের মধ্যেও ঢুকে পড়ল আজ। এরা শিখদের দেশের প্রতি ভালোবাসা ও বলিদানকে ভুলে গিয়েছে। কেউ যদি বাংলার সামাজিক সম্প্রীতি শান্তি ভঙ্গ করার চেষ্টা করে, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “বিজেপির অ্যাজেন্ডাই হচ্ছে বিভেদ তৈরি করা। এদিন এটা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।” তবে শুধু বিজেপির ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের নয়, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের ভূমিকারও নিন্দা করেন তিনি। রেখা শর্মাকে ‘কৈকেয়ী’ বলেও কটাক্ষ করেন। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। সেখানে যদি মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হত তাহলে প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার কেন এতদিন কিছু বলেননি?”