সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাতায় কলমে নিয়ম ছিল। কিন্তু সমস্যা হল প্রায় কোনও হাসপাতাল কার্যত তেমন আমল দিত না। তাই স্বাস্থ্যভবন রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিল, প্রতিটি পথ দুর্ঘটনার ডেথ অডিট করতে হবে। অর্থাৎ পথ দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি করা, চিকিৎসা এবং মৃত্যু হলে তার মূল কারণ অথবা সুস্থ হলে ঠিক কী ধরনের চিকিৎসা এবং কতদিন ধরে হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ নির্দিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে হাসপাতালগুলিকে প্রতিটি দুর্ঘটনায় 'ডেথ রিপোর্ট' জমা দিতে হবে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিবের উপস্থিতিতে জেলা স্বাস্থ্য কর্তা এবং হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর স্বাভাবিক নিয়মেই ময়নাতদন্ত হয়। তবে ডেথ অডিট কেন? স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের অভিমত, ডেথ অডিট হলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তার উপর ভিত্তি করে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রথমত, দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালের দূরত্ব কতটা? ওই স্থানে নির্দিষ্ট সময়ন্তরে কত দুর্ঘটনা হয়? কোন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনা বেশি হয়? আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির শরীরের কোন অংশে বেশি আঘাত লাগে? ধরা যাক মাথা এবং ঘাড়ে বেশি আঘাত নিয়ে আহত ব্যক্তি ভর্তি হয়, তাহলে সেই ধরনের বিশেষজ্ঞ কী চিকিৎসা করেছিলেন? অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছে কী না? ডেথ অডিট থেকেই জানা যাবে?
এ ছাড়াও পথ দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে পরিবর্তন করা দরকার কী না- প্রয়োজনে সেই পদক্ষেপ ও করতে পারে স্বাস্থ্যদপ্তর। বিজ্ঞতিতে আরও বলা হয়েছে, জেলা থেকে প্রাপ্ত ডেথ অডিট রিপোর্ট পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে পাঠানো হবে। যাতে হাসপাতালের পরিকাঠামো বদল করতে সুবিধা হয়।