অর্ণব আইচ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ। বিচারপর্বে শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার আদালতে হাজিরা করা হবে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। ওইদিন তার সঙ্গে কথা বলবেন বিচারক। প্রয়োজনে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে সে।
বলে রাখা ভালো, গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল সাক্ষ্যগ্রহণ। ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যদানের ব্যবস্থা করেছিল সিবিআই। শুক্রবার থেকে আদালত অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বক্তব্য শুনবে। এই পর্বে বিচারক তাকে প্রশ্ন করতে পারেন। সঞ্জয় রায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিচারককে নিজের বক্তব্য জানাতে পারেন। তার যদি কোনও সাক্ষী থাকে, তাহলে তার তালিকাও সঞ্জয় জমা দিতে পারে আদালতে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট ডিউটি ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হবে। এই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। পরে যদিও আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে চারমাস কেটে গেলেও তদন্তে চূড়ান্ত 'ব্যর্থ' কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিট জমা দিতে না পারায় অভিজিৎ এবং সন্দীপ দুজনেই জামিন পেয়ে যান। টালা থানার প্রাক্তন ওসি আপাতত জেলমুক্ত। তবে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জড়িত হওয়ায় সন্দীপ ঘোষ জামিন পাওয়ার পরেও জেলবন্দি রয়েছেন। আদালতের এই নির্দেশের পর হতাশ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। কবে এই মামলার সুবিচার মিলবে, তা নিয়ে হতাশ নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।