অর্ণব দাস, বারাকপুর: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর। তা নিয়ে গত দু’দিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শ্বেতা চক্রবর্তী উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে শ্বেতার নাম প্রকাশ্যে আসার পর ইডি (ED) তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে খবর। তবে এত বিতর্কে জড়িয়েও শ্বেতা নিজেকে আড়ালে রাখেননি। সব বিতর্ক উড়িয়েই তিনি বৃহস্পতিবার যোগ দিলেন কাজে। কামারহাটি পুরসভায় (Kamarhati Municipality) সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজ করেন শ্বেতা। দিন তিনেক ছুটি কাটানোর পর তিনি ফের অফিসে এলেন, নিজের বিভাগে বসে কাজও করলেন।
পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (Civil engineer) নৈহাটির বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তী। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি কামারহাটি পৌরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। গত সপ্তাহের শনিবার অফিস থেকে ফেরার পর বেশ কয়েকদিন কাজে আসেননি। তারই মাঝে তাঁর নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। হুগলির অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে শ্বেতার বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে ইডি। আর তারপরই অভিযুক্তের তালিকায় নতুন নাম যোগ হয়েছে শ্বেতার। এই ক’দিন শ্বেতা অফিসে না যাওয়ায় কামারহাটি পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, এহেন দুর্নীতিতে নাম জড়ানো এবং অফিসে তাঁর অনুপস্থিতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
[আরও পড়ুন: জেলযাত্রার কী প্রভাব রাহুলের রাজনৈতিক জীবনে? সাংসদ পদ কি খারিজ হতে পারে?]
এসবের মাঝেই অবশ্য শ্বেতা জানিয়েছেন, তিনি কোনও দুর্নীতির (Corruption)সঙ্গে যুক্ত নন, সমস্ত আর্থিক লেনদেন বৈধ। ইডি ডাকলে তিনি সব নথি নিয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবার ফের নিজের কর্মস্থলে যান শ্বেতা। কামারহাটি পৌরসভায় অফিসের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই কাজকর্ম করেন। এদিন শ্বেতার তরফে আর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও কামারহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল সাহা জানান, ”তিনি আজ কাজে যোগ দিয়েছেন। শনিবারের পর আর অফিসে আসেননি। ছুটি কাটিয়ে আজ এসেছেন। এখনই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।”