অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: স্কলারশিপের জন্য পরীক্ষা দিতে হবে। এমনটা বুঝিয়ে নাবালিকা ছাত্রীদের বাড়িতে ডেকে গয়না নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জলঙ্গির ফরিদপুর ভিটাপাড়া এলাকায়। জানাজানি হতেই প্রতারক শিক্ষকের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবকরা। ধৃত শিক্ষকের মা ও স্ত্রী।
বিষয়টা ঠিক কী? প্রতারিত দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জেসমিনা খাতুন জানায়, ওই শিক্ষকের নাম মিনারুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, সংখ্যালঘু দপ্তর থেকে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তা পেতে গেলে ডোমকলে গিয়ে পরীক্ষায় বসতে হবে। সেই মতো রবিবার সকলে ডোমকলে যাওয়ার জন্য শিক্ষকের বাড়িতে যায়। অভিযুক্ত জানান, ওখানে সকলের ছবি তুলতে হবে। বলা হয়, গয়না পরা থাকলে স্কলারশিপের টাকা মিলবে না। তাই গয়না খুলতে বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বারুদের স্তূপে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী কি শ্মশান বানাতে চান?’, দত্তপুকুর বিস্ফোরণ নিয়ে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর]
অভিযোগ, গয়না খুলে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে দেওয়ার পরই তিনি ছাত্রীদের বলেন, “দেরি হয়ে গেল, নিশ্চয় ক্ষিদে পেয়েছে? তো বলো কী খাবে।” ছাত্রীরা আনন্দের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে চায়। এরপরই বিরিয়ানি আনার কথা বলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। আটটা থেকে বেলা এগারোটা বাজলেও স্যার আর আসছে না দেখে ফোন করে ছাত্রীরা। তাতেও লাভ হয়নি। এক অভিভাবক জাহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ দ্রুত গয়না উদ্ধারের আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ উঠেছে। পাশিপাশি পুলিশ ওই প্রতারক শিক্ষকের মা ও স্ত্রীকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ফরিদপুর ভিটেপাড়ার মিনারুল ইসলাম ডোমকলে একটি অ্যাকাডেমি স্কুল খুলে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান। পাশাপাশি বাড়িতেও দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ান। তাদের সঙ্গেই ওই প্রতারণা।
