টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় (Bankura) চলন্ত বাসে স্ত্রীর প্রেমিকের গলা কাটার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মারাত্মক জখম মহিলাও। বাঁকুড়া শহরের সদর থানার কেরানি বান্দ এলাকার ঘটনা। গুরতর আহত নমিতা সিংহ বাবু ও তাঁর প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Bankura Sammilani Medical College) ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে নমিতা সিংহ বাবুর সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার বাসিন্দা সৌরভ সিংহ রায়ের। ওই দম্পতির একটি কন্য়াসন্তানও রয়েছে। তবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নমিতা। ফেসবুকে আলাপ হয় বীরভূমের শেখ ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের। দুজনে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো চলতি মাসে পালিয়ে যান নমিতা। স্থানীয় থানায় একটি নিঁখোজ ডায়েরি করা হয়। তার পরে আজ আদালতে আত্মসমর্পন করতে আসেন নমিতা ও তাঁর প্রেমিক। আদালতের কাজ মিটিয়ে দুর্গাপুরের বাস ধরে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে আগে থেকে সেই বাসে লুকিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত সৌরভ।
[আরও পড়ুন: বীরভূমে জোটে জট! প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই একতরফা দেওয়াল লিখন কংগ্রেসের]
বাস কিছুটা এগোতেই সৌরভ আক্রমণ করেন শেখ ঔরঙ্গজেব এবং নমিতার উপর। ঔরঙ্গজেবের গলা লক্ষ্য করে ছুরি চালায় সৌরভ। গলার শিরা ও অন্যান্য পেশি মারাত্মরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর। স্ত্রী নমিতার উপর ও প্রাণঘাতী হামালা করে সে। মুখের অংশ মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। চলতি বাসে নমিতার চিৎকার শুনে বাস থামিয়ে দেন চালক। সেই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সৌরভ। বাস চালক রঞ্জিত মাহাত বলেন, ” বাসে হঠাৎ প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। সেই শব্দ শুনে রাস্তার ধারে বাস থামিয়ে দিই। ঘটনা বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।” পুলিশ এসে বাস-সহ পুরো যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।