নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গরু পাচার মামলায় আরও তথ্যের খোঁজে তৎপর সিবিআই (CBI)। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ চালকল মালিক তথা তৃণমূল নেতাকে জেরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। মঙ্গলবার সকালে বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয় তাঁকে। সেই মতো বেলা ১১টা থেকে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
সঞ্জীব মজুমদার নামে ওই ব্যবসায়ী বীরভূমের আমোদপুরের বাসিন্দা। সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিনি। চালকলের মালিক সঞ্জীব। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বোলপুরের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হয় তাঁকে। সেই মতো সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সিবিআই ক্যাম্পে যান তিনি। প্রায় আধঘণ্টা পর শুরু হয় জেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব। সিবিআইয়ের নজরে সঞ্জীবের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে বিপুল টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে বলেই খবর। এলাকার প্রায় প্রত্যেকটি চালকল থেকে তোলা আদায় করতেন সঞ্জীব। সূত্রের খবর, ওই টাকা অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকত।
[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের হোটেলে ঢুকে পড়ল লরি! আলিপুরদুয়ারে মৃত ২]
অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী দীর্ঘদিন ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন। টাটা মেডিক্যালে চিকিৎসা করা হয় তাঁর। সেই সময় অনুব্রত ও তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ওই চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন হয়েছে বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। সঞ্জীব বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল দাদার মতো। তাই তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ওই টাকা দিয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের রাখিপূর্ণিমায় গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। তৃণমূল নেতার প্রয়াত স্ত্রী ও মেয়ের নামে প্রায় পাহাড়প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে বোলপুরের একাধিক চালকলও। সঞ্জীবকে জেরা করে গরু পাচার মামলায় আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।