আমডাঙায় তৃণমূল নেতা খুন! শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে দলেরই কর্মীদের ক্ষোভের মুখে বিধায়ক

08:10 PM Nov 20, 2023 |
Advertisement

অর্ণব দাস, বারাসত: আমডাঙার (Amdanga) নিহত পঞ্চায়েত প্রধানের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় কর্মী ও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পরে বিধায়কের আশ্বাসে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। 

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। ওইদিন রাতে আমডাঙার কামদেবপুর হাটে তৃণমূল নেতা রূপচাঁদ মণ্ডলকে বোমা মেরে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয় আনোয়ার হোসেন। তার পর আর কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল আমডাঙার সোনাডাঙা এলাকায়। সোমবার ছিল নিহত নেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। তাই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান। সেখানে পৌঁছতেই দলের কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক। কার্যত তাঁকে ঘিরে ফেলেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, অন্যতম অভিযুক্ত আবু তোয়েব হোসেনকে পুলিশ ধরেও ছেড়ে দিয়েছে। এতবড় ঘটনার পরও পুলিশ সক্রিয় হয়নি। তাই বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা।

[আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীর ফেসবুক বন্ধ করান বৃন্দাবন! খড়দহ রহস্য মৃত্যুতে নয়া তথ্য]

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেখান থেকেই বিধায়ক পুলিশের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে। তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, “ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছে এফআইআরে নাম থাকা তোয়েব হোসেনকে পুলিশ ধরে ছেড়ে দিয়েছে। আমি এবিষয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছি। আমডাঙা থানার আইসি জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমান করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেবেন।” অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। দ্রুত বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।

[আরও পড়ুন: ধান সেদ্ধ করার স্টিম ঘরে উদ্ধার কিশোরের বস্তাবন্দি দেহ! হাড়হিম হত্যাকাণ্ড]

Advertisement
Next