সুমন করাতি, হুগলি: রাজনৈতিক দল তাঁদের আলাদা। তবে অভিনয় জগতে একসঙ্গে বহুদিন কেটেছে। রুপোলি পর্দায় একে অপরের নায়ক-নায়িকা। পুরনো দিনের কথা উল্লেখ করে বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রশংসায় ভরালেন হুগলির তৃণমূলের তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা রচনাকে 'কুর্নিশ' 'মহাগুরু'র। এর আগে দেবও মিঠুনকে একাধিকবার দরাজ সার্টিফিকেট দেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও কম হয়নি।
বুধবার হুগলির বলাগড় এবং বাঁশবেড়িয়ায় একাধিক কর্মসূচি ছিল রচনার। যদিও চুঁচুড়ায় বিধায়ক অসিত মজুমদারের এমএলএ কাপ ফুটবল খেলায় যাননি তিনি। আবার মিঠুনের সভা ছিল হুগলির মানকুণ্ডুতে। একই জায়গায় দুই নেতা থাকলেও কেউ কারও বিরুদ্ধে কোনও কুমন্তব্য করেননি। বরং একে অপরকে প্রশংসায় ভরালেন। যা রাজনীতির ময়দানে বেশ ব্যতিক্রমী। এদিন রচনা বলেন, "ওঁর প্রতি আমার আলাদা রকমের সম্মান এবং ভালবাসা সবসময় আছে। থাকবেও। মিঠুনদাকে আমি রাজনীতিবিদ হিসাবে দেখিই না। উনি আমার নায়কও। একসঙ্গে কতগুলো ছবি করেছি! শুধু আমিই নই, মহানায়কের পরে যদি কেউ থাকেন তো তিনি মিঠুন চক্রবর্তী। বাঙালি হয়ে ভারতবর্ষের বুকে রাজ করেছেন উনি। একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা উনি। সেই জায়গাটা আমার কাছে সব থেকে বড়।" একথা শুনে পালটা রচনাকেও প্রশংসায় ভরালেন মিঠুন। তিনি বলেন, "উনি আমাকে যতটা ইজ্জত দেন, আমিও ততটাই ইজ্জত করি। আমাদের এমনি মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁকে কুর্নিশ। আমি তাঁকে সম্মান করি।"
মিঠুন রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন বহু বছর আগে। রচনার রাজনীতিতে অভিষেক চব্বিশের নির্বাচনে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিলেন মিঠুন। হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সেবার সভায় দেখা গিয়েছিল 'মহাগুরু'কে। শাসক শিবিরকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় জোরাল আক্রমণ করেছিলেন তিনি। যদিও লকেটের প্রতিদ্বন্দ্বী রচনাকে নিয়ে একটি শব্দও তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়নি। এবারও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয়। বরং একে অপরকে প্রশংসায় ভরালেন মিঠুন ও রচনা।
