নন্দন দত্ত, সিউড়ি: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitmenmt scam) মামলার সঙ্গে অভিনয়-মডেলিং জগতের একের পর এক নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। বিনোদন জগতের দিকে নজর পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। ধৃত ব্যক্তিরা নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে টলিউড (Tollywood) যোগের কথা বলছেন। এসব নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের মাঝেই টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। রুপোলি পর্দার কাজে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, ‘‘কেউ তো আর স্থানীয় এসপি বা বিডিও-র সার্টিফিকেট দেখে কারও সঙ্গে মেলামেশা করেন না। তবে যতটা ঝামেলা এড়িয়ে চলা যায় ততই ভাল। এটা একটা পেশা, তাকে পেশাগতভাবেই নিতে হবে।’’
সিনেমা জগত থেকে রাজনীতির আঙিনা পা রেখেছেন তিনি। তবে এখন রাজনীতিতেই (Politics) পুরোপুরি নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। অভিনয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও সে জগৎ নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না পেশাদার অভিনেত্রী তথা পরিচালক শতাব্দী রায়। কিন্তু সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়া কয়েকজনের সঙ্গে টলিপাড়ার বেশ কিছু নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে।
শনিবার নলহাটির বুজুং গ্রামে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha kabach) কর্মসূচিতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গে বীরভূম সাংসদ (TMC MP) টলিউড শিল্পীদের পাশেই দাঁড়ালেন তারকা সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘সব সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জেনে সব করেন তেমন তো নয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘যারা বড় বড় চ্যানেলে বসে অভিনেতা অভিনেত্রীদের বড় বড় জ্ঞান দেয় যে সব জানা উচিত, তাদের জিজ্ঞাসা করি, একটি ছবিতে কেউ সই করলে তাঁর প্রোডিউসারের ইনকাম সার্টিফিকেট দেখেন নাকি? কোথা থেকে ইনকাম করে তিনি ছবি করছেন দেখেন? নাকি সেটা দেখা আমাদের কাজ? সাধারণত প্রোডিউসার কী করেন এটা জানা হয়। তারপরেই কাজ শুরু হয়। প্রমাণ দিয়ে, আধার কার্ড দিয়ে, পাড়ায় মুদির দোকানে তার ধার আছে কিনা, সেসব জেনে কেউ ছবি করে না। তাই অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাদের কাজ করতে যায়, সেটাই তারা করে।অনেক সময় কোনও অভিযোগ থাকলে তখনই জানা যায় না। পরে জানা যায়।’’
[আরও পড়ুন: DA ধর্মঘটে শামিল হওয়ার জের, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের ঢুকতেই দিলেন না অভিভাবকরা!]
টলিউডে অবৈধ টাকার বিনিয়োগ নিয়ে সাংসদ তথা অভিনেত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘কেউ তো মাইনের টাকা বাঁচিয়ে ছবি করতে আসে না। হলিউড, বলিউড, টলিউডে একটাই নিয়ম। ব্যবসার টাকা লাভের আশায় বিনিয়োগ হয়। যাদের কাছে বেশি টাকা আছে তারাই ছবি করতে আসে।’’ তাহলে নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিচার করবেন কী করে? এই প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘‘এমন নয় যে বলব সাবধানে চলো। সে কথা বলার মানে কী? সে তাঁর নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠানে যাবে না। সেখানে গিয়ে কারও সঙ্গে ছবি তুলবে না। সেখানে গিয়ে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হলে তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করলে যাবে না। তাহলে তো ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে। এটা একটা পেশা। ভাল লোকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রাখতে হবে।’’