সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শেষদিন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বনধ ও রেল অবরোধের আংশিক প্রভাব পড়ল রাজ্যের একাধিক জেলায়। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরে সামান্য হলেও প্রভাব পড়েছে বনধের। যার ফলে মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও চিন্তা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামের সংগঠন মোট ৬ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। এই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল কুড়মিদের আদিবাসী মর্যাদা না দেওয়া। আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামের সংগঠনটি জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গায় প্রভাবশালী। এর মধ্যে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় এদের ভাল প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও প্রভাব রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও প্রভাব রয়েছে সংগঠনটির।
[আরও পড়ুন: লোকসভার আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে সক্রিয় আইন কমিশন, জানতে চাইল জনতার মত]
এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির মধুকুণ্ডা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন আদিবাসীদের। তাঁদের হাতে ছিল আদিবাসীদের বিভিন্ন অস্ত্র, ধামসা-মাদল। এই অবরোধের জেরে আদ্রা ডিভিশনে রেল চলাচলে ব্যপক প্রভাব পড়েছে। শুধু দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনেই সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি ট্রেন বাতিল বা সময়সীমা বদল করা হয়েছে। রেল অবরোধ হয়েছে ডালখোলা স্টেশনেও। দোকানপাট বাজার খোলা থাকলেও বেসরকারি বাস চলাচলেও সামান্য প্রভাব।
[আরও পড়ুন: রহস্যজনকভাবে মৃত বাবা-মা, জোড়া মৃতদেহর পাশেই তিনদিন জীবিত সদ্যোজাত! উদ্ধার করল পুলিশ]
একই ছবি বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামের কিছু অংশে। বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও। কিছু কিছু জায়গায় বেসরকারি বাস পরিষেবা অমিল। তবে মোটের উপর জনজীবনে বিরাট কিছু প্রভাব পড়েনি। তাছাড়া, এই বনধের ফলে মনোনয়ন প্রক্রিয়া তেমন প্রভাবিত হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
