ধনরাজ ঘিসিং, দার্জিলিং: পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে কি ২ এপ্রিল দিল্লির নর্থ ব্লকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক? দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাকে পাঠানো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে তেমনই আভাস মিলেছে। বুধবার ওই চিঠি এসেছে। যদিও পাহাড়ের অন্য কোনও দল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চিঠি পায়নি। যদিও বৈঠকের খবরে প্রত্যেকেই খুশি। সাংসদ জানান, চিঠি প্রত্যেকে পাবেন। কারণ, এটা ত্রিপাক্ষিক আলোচনা।

সাংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি পাওয়ায় গোর্খা রাষ্ট্রীয় মুক্তি মোর্চা, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং দার্জিলিং পাহাড়ের অন্য দলগুলি খুশি। সাংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, "চিঠি অন্যদেরও পাঠাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে।" গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং বলেন,"খুবই খুশির খবর। চিঠির আশায় আছি।" গোর্খা রাষ্ট্রীয় মুক্তি মোর্চাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। সাংসদ জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ত্রিপাক্ষিক আলোচনার জন্য দার্জিলিং পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্স অঞ্চলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার অনেক ঐতিহাসিক এবং বিতর্কিত বিষয় সফলভাবে সমাধান করেছে। আমি নিশ্চিত যে এই বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে এবং আমাদের জন্য ইতিবাচক খবর নিয়ে আসবে।"
সাংসদ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে গোর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের রাখার কথা বলেছেন। কিন্তু কারা প্রতিনিধি হবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাহাড়ে একাধিক রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে সক্রিয়। তাঁদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা স্পষ্ট নয়। একইভাবে জানা যায়নি জিটিএ-র তরফে কোনও প্রতিনিধি থাকবে কিনা। তবে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলের মতে দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। সেটা নিয়ে দ্রুত আলোচনা প্রয়োজন।