অর্ণব দাস, বারাসত: দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে প্রায় একই রোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার হাবড়ার পুকুরে মিলল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নগ্ন দেহ। রবিবার সকালে তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল সুভাষপল্লি এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তি এলাকার নয় বলেই জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা প্রাথমিকভাবে খুনের বলেই মনে করছেন তাঁরা। মৃতের পরিচয় খোঁজ করে তদন্তে নেমেছে হাবড়া থানার পুলিশ।

হাবড়ার সুভাষপল্লির একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া নগ্ন দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
রবিবার সাতসকালে হাবড়া পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকার বাসিন্দাদের চোখে পড়ে, পুকুরের ধারে একটি দেহ পড়ে রয়েছে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায়। দেখেই সন্দেহ হয় তাঁদের। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অভিষেক নামে স্থানীয় যুবকের বক্তব্য, ''পাড়ার কয়েকজন দেহটি দেখতে পান। বয়স পঞ্চাশের উপরে হবে। ওঁকে এদিক-ওদিক ঘুরতে দেখেছি, ভবঘুরে লোক। কে মেরেছে, বলতে পারব না। পুলিশ দেখছে ব্যাপারটা।'' স্থানীয় বাসিন্দা উদয় দত্ত বলেন, ''মৃতের মাথার পিছনে রক্ত ছিল। যখন দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও রক্ত দেখা গিয়েছে। এই লোকটা এখানকার নয়। এখানে এমন ঘটনা, ভাবা যায় না।'' মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
মাস খানেক আগে দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ার একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল যুবকের মুণ্ডুহীন নগ্ন দেহ। বেশ কয়েকদিন পর জানা যায়, নিজেরই তুতো ভাই, স্ত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক এই খুনের ঘটনায় দায়ী। ঘটনা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছিল এলাকায়। এবার হাবড়ার পুকুরেও একইরকম ভাবে উদ্ধার হল ব্যক্তির বিবস্ত্র দেহ। খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্তে আরও বাধা মৃতের পরিচয়হীনতা। তাঁর পরিচয় জেনে গোটা ঘটনার কিনারা করতে তৎপর হাবড়া থানার পুলিশ।