shono
Advertisement

বাঘ বাহাদুরকে বাগে আনতে জঙ্গলে ড্রোন ব্যবহারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

পাই পাই করে ঘুরছে বাঘ, নধর ছাগলেও অরুচি তার। The post বাঘ বাহাদুরকে বাগে আনতে জঙ্গলে ড্রোন ব্যবহারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:04 PM Mar 08, 2018Updated: 12:19 PM Mar 08, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: গাছে লাগানো ক্যামেরা তো থাকছেই। এবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সন্ধানে ড্রোন ওড়ানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বাঘে একেবারে থরহরি কম্পমান মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া। বাঘের গতিবিধির সঙ্গে তাল রাখতে হিমশিম অবস্থা বন দপ্তরের। গোটা ঘটনায় চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রীও। বাঘের উপরে কড়া নজরদারি চালাতে তিনজেলার পুলিশ ও বনদপ্তর সমন্বয় রেখে কাজ করুক। বুধবার বাঁকুড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন পশ্চিম মেদিনীপুর সীমানা বরাবর এলাকার বিডিও এবং বনাধিকারিকদের। বাঘ খুঁজতে জঙ্গল জুড়েই চালানো হোক নজরদারি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে বাঁকুড়ার দক্ষিণ বন বিভাগ। এই প্রসঙ্গে বনাধিকারিক মহিমা প্রসাদ জানান, বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

[খবরের ফেরিওয়ালা, সংসারের ছাতা হয়ে একাই ছুটে চলেন ফুলেশ্বরী]

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় দুষ্কৃতীদের সন্ধানে, চোরাচালান আটকাতে ড্রোনের নজরদারিতে সাফল্য এসেছে। তাই বাঘের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে। কেন না মাত্র একবারই নজরে এসেছে সে। এদিকে খাঁচার পাশ থেকে গিয়েও বন দপ্তরের পাতা ফাঁদে ধরা দিল না রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। লালগড়ের লক্ষ্মণপুর জঙ্গলে লোহার খাঁচায় নধর ছাগলের চিৎকারও টেনে আনতে পারল না দক্ষিণ রায়কে। এল, চার-পাঁচ ফুট থেকে ছাগলের টোপ দেখল। তারপর  মুখ ফিরিয়ে চলে গেল। এই অবাক গতিবিধি দেখে আরও চিন্তা বেড়েছে বন দপ্তরের। জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে বাঘটি  খাঁচার একেবারে গা ঘেঁষেই বেরিয়ে গিয়েছে। রেখে গিয়েছে প্রমাণও। তবে কী সেই প্রমাণ তা অবশ্য কেউ খোলসা করেনি। তবে বাঘটি যে জঙ্গলে দিশা হারিয়েছে তা বোঝা গেল বুধবার সকালে। কারণ মেদিনীপুর শহরের একেবারে দোরগোড়ায় যে তার থাবার চিহ্ন স্পষ্ট। শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরেই মুড়াকাটা গ্রাম। সংলগ্ন জঙ্গলপথে মঙ্গলবার রাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি এসেছিল। মিলেছে পায়ের ছাপ। আবার ভোরের দিকে সেই ছাপ পাওয়া গেল লক্ষ্মণপুরে। মুড়াকাটা ও লক্ষ্মণপুরে পায়ের ছাপ যে একই বাঘের, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বন দপ্তর। মুড়াকাটা থেকে লক্ষ্মণপুর জঙ্গলপথের দূরত্ব ২০-২২ কিলোমিটার। এখন তাহলে প্রশ্ন, এই রাস্তা রাতারাতি বাঘটি পাড়ি দিচ্ছে?

কথা প্রসঙ্গে ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, একই বাঘ জঙ্গলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে বিচরণ করছে। শহর লাগোয়া মুড়াকাটা তো বটেই, জঙ্গল লাগোয়া সমস্ত গ্রামের মানুষকেই সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন যথাসম্ভব জঙ্গলের পথ এড়িয়ে চলে। গৃহপালিত গবাদি পশুকেও জঙ্গলে চরাতে আনার দরকার নেই। সূত্র বলছে, যে বাঘটি এই মুহুর্তে ফের লালগড়ে ফিরে গিয়েছে। তবে যেভাবে গভীর অরণ্যের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছে বাঘ, তাতে তার অবস্থান ঠাওর করতে হিমশিম খাচ্ছে বন দপ্তর। দুই মার্চ দক্ষিণবঙ্গের লালগড় জঙ্গলে প্রথম বাঘ থাকার প্রমাণ মেলে। এরপর তাকে লক্ষ্য করা গিয়েছিল ধেড়ুয়ার সিয়ারবনিতে। মঙ্গলবার রাতে তার উপস্থিতি মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে ছিল।

[নাবালিকার বিয়ের আয়োজন, প্রশাসনের কানে যেতেই পিছু হটল পাত্রপক্ষ]

The post বাঘ বাহাদুরকে বাগে আনতে জঙ্গলে ড্রোন ব্যবহারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement