shono
Advertisement
Birbhum

উত্তরপ্রদেশে কীভাবে মৃত্যু বাংলার আদিবাসী শ্রমিকের? তদন্ত চেয়ে বীরভূমে FIR পরিবারের

গত সপ্তাহে কানপুরের গোবিন্দনগরে রেললাইনের ধারে মেলে শ্রমিকের দেহ।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 12:37 PM Oct 29, 2025Updated: 12:37 PM Oct 29, 2025

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মঙ্গলবার রাতে ঘরে ফিরেছে উত্তরপ্রদেশে মৃত বীরভূমের আদিবাসী যুবক প্রতীক হেমব্রমের দেহ। বুধবার সকালে তদন্তের আর্জি নিয়ে বীরভূম থানার দ্বারস্থ হলেন মৃতের স্ত্রী। তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে এফআইআর করেছেন তিনি।

Advertisement

বীরভূমের পারুই থানার দামোদরপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতীক। একবছর আগে চামড়ার কারখানায় শ্রমিকের কাজ নিয়ে চেন্নাই গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, শেষবার প্রতীকের সঙ্গে কথা হয়েছিল ২২ অক্টোবর। সেদিন তাঁর কথাবার্তায় কিছুটা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। মনে হয়েছিল, কোনও কারণে আতঙ্কে ছিলেন তিনি। তবে তখন বিষয়টি ততটা গুরুত্ব দেননি তাঁরা। এরপর গত শনিবার গভীর রাতে পারুই থানার মাধ্যমে পরিবার খবর পায়, উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার গোবিন্দনগর থানা এলাকায় রেললাইনের ধারে প্রতীকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বীরভূমের গ্রামে ফেরে দেহ। মৃত পরিযায়ী শ্রমিককে শেষশ্রদ্ধা জানান, রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ-সহ রাজ্য তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল। সকাল থেকেই প্রতীক্ষায় ছিলেন প্রতীকের বাবা গোপাল হেমব্রম, স্ত্রী শর্মিলা, দুই কন্যা পৌলীনা ও শিউলিনা, দাদা ও বউদি। কফিন দেখেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন স্ত্রী শর্মিলা হেমব্রম। বাকরুদ্ধ মেয়েরা। এরপরই বুধবার সকালে থানার দ্বারস্থ হন মৃতের স্ত্রী শর্মিলা। এফআইআরে তিনি স্পষ্ট করে লিখেছেন, তাঁদের অনুমান প্রতীককে খুন করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মঙ্গলবার রাতে ঘরে ফিরেছে উত্তরপ্রদেশে মৃত বীরভূমের আদিবাসী যুবক প্রতীক হেমব্রমের দেহ।
  • বুধবার সকালে তদন্তের আর্জি নিয়ে বীরভূম থানার দ্বারস্থ হলেন মৃতের স্ত্রী।
  • তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে, তদন্ত চেয়ে এফআইআর করেছেন তিনি।
Advertisement