রাহুল চক্রবর্তী ও সুমিত বিশ্বাস: পুরুলিয়া জেলার বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একাধিক নেতা ও সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বুধবার কলকাতায় এসে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা যোগদান করেন।
[প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি থেকে সরাতে হবে মোদির ছবি, নির্দেশ ক্ষুব্ধ হাই কোর্টের]
দলে স্বাগত জানিয়ে বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “সুরজ শর্মা, গৌরব সিংয়ের নেতৃত্বে পুরুলিয়ায় বজরং দলের সদস্যরা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেইসঙ্গে ভিএইচপির নেতৃত্ব ও সদস্যরাও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এর ফলে পুরুলিয়া জেলায় বজরং দলের আর কোনও অস্তিত্বই রইল না।” বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি এঁদের ভুল বুঝিয়ে এবং ভুল পথে চালিত করে পুরুলিয়া জেলার মানুষকে বোকা বানিয়েছিল। বজরং দল ও ভিএইচপি নেতত্বকে বিজেপি ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন শান্তনুবাবু। তাঁর বক্তব্য, “নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বজরং দল ও ভিএইচপি নেতৃবৃন্দ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হওয়ার আবেদন করেন। সেইমতো তাঁদের দলে গ্রহণ করা হল। এখন থেকে পুরুলিয়া জেলার উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন তাঁরা।” এদিনের যোগদানপর্বে ছিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজ্যে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে সফরও সেরে ফেলেছেন বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের একাধিক জেলায় উপস্থিতি বাড়িয়েছে বিজেপি। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনই তার প্রমাণ। এই মুহূর্তে প্রধান বিরোধী বলতে গেরুয়া দলটিই। কংগ্রেস প্রায় ধুঁকছে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে সিপিএম। তাই শাসকদলের উদ্বেগ কিছুটা হলেও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হিন্দুত্ববাদীদের শিবিরে ভাঙন শাসকদলের জন্য সুখবর। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারের মধুর প্রতিশোধ, এশিয়া কাপে পাক-বধ ভারতের]
The post হিন্দুত্ববাদী শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ বজরং দল-ভিএইচপির নেতা কর্মীদের appeared first on Sangbad Pratidin.
