দেব গোস্বামী, বোলপুর: খোদ নির্মাতার জন্মদিবসই নম নম পালিত হল তাঁর নির্মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর (Rabindra Jayanti) অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Vishva Bharati University)! সকালবেলাতেই স্রেফ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ইতি টানা হয়েছে। বাতিল সন্ধের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষে জমি নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, তার জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত? যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গরমের জন্যই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনে আড়ম্বর বাদ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই আচরণে ক্ষুব্ধ শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র অনুরাগী ও আশ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সকালে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) উপাসনা গৃহে বৈতালিক, উপাসনা ও কবির ব্যবহৃত চেয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে। হয় প্রভাতফেরিও। বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এবছর কবিপ্রণাম অনুষ্ঠান এখানেই শেষ। প্রতি বছর সন্ধেবেলা প্রাঙ্গণে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, তা এবার বাতিল (Cancel)করা হয়েছে নোটিস দিয়ে। নোটিসে বিশেষ পরিস্থিতি ও গরমকে অন্যতম কারণ হিসেবে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আইপিএলেও ডিএ প্রতিবাদ, ব্যানার হাতে ইডেনে ম্যাচ দেখতে হাজির সরকারি কর্মীরা]
তবে কি অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরেই রবীন্দ্রসন্ধ্যা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী? এ বিষয়ে মুখে কুলুপ কর্তৃপক্ষের। তবে আশ্রমিকরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, গরমই যদি কারণ হয়, তাহলে দুপুরের অনুষ্ঠান হতে পারে। সন্ধের অনুষ্ঠান বাতিল কেন? বোঝাই যাচ্ছে, এর পিছনে সঠিক কারণটা কী। কিছু বলার নেই। বিগত দু’দশক ধরে ২৫ বৈশাখ মহাসমারোহে উদযাপিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কিন্তু এবার গরমের দোহাই দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল কার্যত রবীন্দ্রনাথকে অবমাননারই শামিল বলে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব প্রাক্তনীরা।